Pak Woman in Siliguri: এখানেই বড় হয়েছি আমাকে থাকতে দিন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি ধৃত পাক মহিলার
Pak Woman in Siliguri: এমাসের ১৫ তারিখে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে ধৃত ওই পাকিস্তানি মহিলা ও তার ছেলেকে আটক করে এসএসএবি। পরে তাদের খড়িবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হলে পুলিস তাদের গ্রেফতার করে
নারায়ণ সিংহ রায়: অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগে গত ১৫ নভেম্বর খড়িবাড়িতে ধরা পড়েন এক পাকিস্তানি মহিলা। মঙ্গলবার আদালত থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাঁর আর্জি তাঁকে এদেশে থাকতে দেওয়া হোক। কারণ তাঁর বড় হয়ে ওঠা ভারতেই।
আরও পড়ুন-'একজন শ্রমিককে বের করতে লাগবে ৩-৫ মিনিট, উদ্ধারে আরও ৩-৪ ঘণ্টা'
এমাসের ১৫ তারিখে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে ধৃত ওই পাকিস্তানি মহিলা ও তার ছেলেকে আটক করে এসএসএবি। পরে তাদের খড়িবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হলে পুলিস তাদের গ্রেফতার করে। তদন্তের স্বার্থে আদালতে ৭ দিনের পুলিসি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস। আদালত সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপর ফের আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত। এদিন ফের আদালতে তোলা হয়। তবে প্রশ্ন উঠছে ধৃত মহিলা কেনই বা ভারতে প্রবেশ করতে চাইছে! এর পেছনে কি অন্য কোন রহস্য রয়েছে? ধৃত ওই মহিলার নাম শায়েস্তা হানিফ।
পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজত শেষে আজ শায়েস্তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতে তোলার আগে খড়িবাড়ি থানায় ধৃত শায়েস্তা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলতে চাই আমি এখানেই জন্ম নিয়েছি, বড় হয়েছি। এরপর বড় হয়ে পড়শি দেশের এক যুবকের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। তারপর ওখানে গিয়ে আমার নতুন পাসপোর্ট হয়। সেই পাসপোর্ট নিয়ে আমি মধ্যপ্রাচ্যে চলে যাই। ওখানেই ৩৫ বছর ছিলাম। ওখানে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হওয়ায় ঠিক করলাম দেশে ফিরে যাব। সেই জন্য ভারতের ভিসার চেষ্টা করছিলাম। ২-৩ বছর অপেক্ষা করেও ভিসা পাইনি। বাধ্য হয়েই নেপালে এলাম এবং সীমান্ত এসে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলি। জানতে চাই কীভাবে আমি ভারতে যেতে পারি। এর মধ্যে আমি অন্যমনস্কভাবে এক পা বাড়াতেই আমাকে ওরা গ্রেফতার করে। ওদের দাবি আমি সীমান্ত পার করেছি। এরপর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। ওখান থেকে আমাকে ওরা দার্জিলিংয়ে নিয়ে আসে। আমার কাছ থেকে আমার বাচ্চাকে নিয়ে নেওয়া হয়। ওর সঙ্গে ১২ দিন ওর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। আমি ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রসারের রোগী। মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে আমার অনুরোধ এই সমস্যা থেকে আমাকে উদ্ধার করুন। আমার বোনের কাছে আমাকে থাকতে দিন। আমার দায়িত্ব ও নেবে। সীমা হায়দরকে আপনারা আশ্রয় দিয়েছেন। আমাকেও আশ্রয় দিন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)