দেওরের সঙ্গে পরকীয়া বৌদির! শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখে ফেলে স্ত্রী, তারপর...

বিয়ের পর থেকেই লালবানুর সন্দেহ হয়, বড় বৌদির সঙ্গে তাঁর স্বামী আমিন উদ্দিন শেখের কোনও সম্পর্ক আছে।

Updated By: Nov 13, 2018, 02:36 PM IST
দেওরের সঙ্গে পরকীয়া বৌদির! শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখে ফেলে স্ত্রী, তারপর...

নিজস্ব প্রতিবেদন: বড় বৌদির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার সময় স্বামীকে হাতেনাতে ধরে ফেলল স্ত্রী। আর তারপরই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী, বড় জা সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। পলাতক স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।

মৃতার নাম লালবানু মোল্লা। কুলতলি থানার গাজির চক এলাকার বাসিন্দা লালবানু মোল্লার সঙ্গে ৭ বছর আগে বিয়ে হয় মেরিগঞ্জ ২ এলাকার পূর্ব তেতুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আমিন উদ্দিন শেখের। বিয়ের পর থেকেই লালবানুর সন্দেহ হয়, বড় বৌদির সঙ্গে তাঁর স্বামী আমিন উদ্দিন শেখের কোনও সম্পর্ক আছে। বিয়ের পর থেকেই তাঁর কানে আসত দুজনের নানান কথাবার্তা। স্বামীর আচার আচরণ লালবানুর মনে সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।

লালবানুর বাবা নূর মহম্মাদ মোল্লা জানিয়েছেন, দেখাশোনা করেই আমিন উদ্দিন শেখের সঙ্গে মেয়ে লালবানুর বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই লালবানুর উপর জামাই আমিন উদ্দিন সহ শ্বশুরবাড়ির বাড়ির লোকেরা অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ তাঁর। নূর মহম্মদের অভিযোগ, নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত লালবানুর উপর। ইতিমধ্যে লালবানুর এক ছেলে ও এক মেয়ে হয়। কিন্তু তারপরেও অত্যাচারের মাত্রা বেড়েছে বই কমেনি।

বিয়ের ৪ বছরের মাথায় লালবানু বড় জায়ের সঙ্গে স্বামী আমিন উদ্দিনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়। দাম্পত্য কলহ চরম আকার নেয় তারপর। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। পারিবারিক বিবাদ মেটাতে গ্রামে বেশ কয়েকবার সালিশি সভাও বসানো হয়। কিন্তু গত ৩ বছরে অবস্থার কোনও হেরফের ঘটেনি।

শেষে সোমবার বিকেলে বৌদির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার সময় স্বামী আমিন উদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে লালবানু। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ, তারপরই লালবানুর উপর নির্মম অত্যাচার শুরু হয়। শেষপর্যন্ত গলা টিপে শ্বাসরোধ করে লালবানুকে খুন করে স্বামী আমিন উদ্দিন ও বড় জা।

আরও পড়ুন, বেতন চাইতে গিয়েছিলেন পরিচারিকা, মেসের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে একাজ করল মালিক

এই ঘটনায় কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের বাবা নূর মহম্মদ মোল্লা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী আমিন উদ্দিন মোল্লা সহ লালবানুর শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যরা পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।

.