সংসারিক বিবাদের জেরে গৃহবধূকে ছুরি নিয়ে হামলা স্বামীর
ছুরিকাহত অবস্থায় কৃষ্ণনগর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন মায়াপুরের ঝুমা মণ্ডল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পিঠে গেঁথে গিয়েছে ধারালো অস্ত্র। এই অবস্থাতেই হাসপাতালে এলেন গৃহবধূ। ওই মহিলার এমন অবস্থা দেখে হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালের চিকিত্সকরা। ঘটনাটি নদিয়ার মায়াপুরের। আপাতত ছুরিটি কীভাবে বের করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। শরীরের অনেকখানি ভিতরে প্রবেশ করেছেন ছুরির একাংশ।
ঠিক কী হয়েছে?
ঘটনার সূত্রপাত, দিন কয়েক আগে নিজের শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন গৃহবধূ ঝুমা মণ্ডল। বিয়ের পর থেকে সংসারে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ লেগেই থাকত বলে দাবি গৃহবধূর পরিজনদের। স্বামী প্রসেন মণ্ডলের অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তিনি পালাতে বাধ্য হন বলে দাবি ঝুমা মণ্ডলের। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হন ঝুমাদেবীর মা। তবে মেয়ের সন্ধান পাওয়ার পর এদিন থানায় বিষয়টি জানাতে যান মা-মেয়ে।
থানা থেকে ফেরার রাস্তায় প্রসেন মণ্ডল ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে অভিযোগ। ঝুমা মণ্ডলের অভিযোগ, সেই ছুরি দিয়ে প্রথমে তাঁর মাথায় আঘাত করে। পালাতে যাওয়ার সময় পিছন থেকে পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে প্রসেন। তখনই সেটি তাঁর পিঠে গেঁথে যায়। ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন ঝুমার স্বামী।
ছুরিকাহত অবস্থায় ঝুমা মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। পিঠে গেঁথে থাকা ছুরিটি কীভাবে বের করা হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন চিকিত্সকরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিস।
আরও পড়ুন- স্তালিনের রাশিয়ায় খুন করা হয়েছিল নেতাজিকে, জানতেন নেহরু: স্বামী