অপমানিত ও বঞ্চিত, আসানসোলে প্রতিবাদ মিছিলে শয়ে শয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা
আজ কয়েকশো শিক্ষক-শিক্ষিকা মিছিলে পা মিলিয়েছেন। ছিলেন ডঃ করিমুল হকও। শিক্ষক নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বাকি আন্দোলনকারীদের দাবি, অকারণ অপমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শাসক দলের সংগঠনে থেকেও অপমানিত এবং বঞ্চিত হতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এর প্রতিবাদে এবার আসানসোলের রাজপথে বিক্ষোভ মিছিলে নামলেন শিক্ষকরা। মঙ্গলবার আসানসোলের পিজি মোড় থেকে জিটি রোড হয়ে সিটি বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছয় প্রতিবাদ মিছিল। তাঁদের দাবি, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বিভিন্নভাবে অপমানিত ও বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা রয়েছেন তাঁরা এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন। আজ কয়েকশো শিক্ষক-শিক্ষিকা মিছিলে পা মিলিয়েছেন। ছিলেন ডঃ করিমুল হকও। শিক্ষক নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বাকি আন্দোলনকারীদের দাবি, অকারণ অপমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগর থেকে দুই অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এল হাওড়ায়
১৫ অক্টোবর আসানসোল পৌরনিগমের মেয়াদ শেষ হবার পর পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রবক্তা তথা শিক্ষকদের রাজ্য নেতা অশোক রুদ্রকে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করা হয়। এরপরই ১৬ ডিসেম্বর বোর্ডের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইস্তফা দেওয়ার পর নতুন কমিটি গঠন হয়। তবে তাতে আর অশোক রুদ্রকে রাখা হয়নি। কাউন্সিলর না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কেন কমিটিতে রাখা হল, কেনই বা দুমাস পরে তাঁকে কমিটি থেকে বের করে দেওয়া হল সেই প্রশ্নও তুলেছেন শিক্ষকেরা। পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেস জেলা কমিটির কাছে এমনটাই দাবি জানিয়েছে তাঁরা। তবে এ বিষয়ে কোনও মুখ খোলেনি তৃণমূলে কেউই।