Asansol Arms Recovery: আসানসোলে এসটিএফের জালে ২ অস্ত্র সরবারহকারী, উদ্ধার পিস্তল-কার্বাইন-সহ বিপুল অস্ত্র
ধৃত রঞ্জিত শর্মা ওরফে ছোটু ও বলিরাম প্রসাদ ওরফে রাবানি এরা দুজনও বিহারের বাসিন্দা। আগেও বিহার থেকে এরাজ্যে অস্ত্র সরবারহ করতে এসে একাধিক যুবক গ্রেফতার হয়েছিল
বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায় ও পিয়ালী মিত্র: এসটিএফের অভিযানে উদ্ধার বিপুল অস্ত্র। তালিকায় রয়েছে নাইন এমএম পিস্তল, কার্তুজ, কার্বাইন-সহ একাধিক অত্য়াধুনিক অস্ত্র। অস্ত্রপাচারের ওই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। পঞ্চায়েত ভোটে আগে এরকম বিপুল অস্ত্র উদ্ধারে উঠছে প্রশ্ন। অস্ত্র পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে যে দুজনকে ধরা হয়েছে তারা বিহারের ভোজপুরের বাসিন্দা। ওই অস্ত্র পাচারের খবর সালানপুর থানায় কাছে ছিল না। পাশাপাশি আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের কাছেও ছিল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই অভিযান চালায় এসটিএফ। কেন ওই বিপুল অস্ত্র আনা হয়েছিল, কীভাবে তা কাজে লাগানো হতো, কিংবা কাদের তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ। পাশাপাশি তদন্ত করবে সালানপুর থানার পুলিস।
আরও পড়ুন-অজ্ঞাত আততায়ীর আক্রমণ কানাডায়, ছুরির আঘাতে মৃত ১০
বাসিন্দা। আগেও বিহার থেকে এরাজ্যে অস্ত্র সরবারহ করতে এসে একাধিক যুবক গ্রেফতার হয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টি নাইন এমএম কার্বাইন ও তার ৩টি ম্যাগাজিন, ২টি সেভেন এমএম পিস্তল, ৩টি নাইন এমএম পিস্তল, ৫টি ওয়ান শর্টার, ১৫ রাউন্ড নাইন এমএম এর ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড অন্য কার্তুজ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওইসব বিপুল অস্ত্র সালানপুরে কাউকে পৌঁছে দিতে এসেছিল ধৃতরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ওই বিপুল অস্ত্র কারা নিতে চেয়েছিল। কী উদ্দেশ্য় ছিল তাদের। কয়েকদিন আগেই এরকম বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেবারও পাওয়া যায় কার্বাইন, নাইন এমএম পিস্তল। ওই দুটি ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এত অস্ত্র রাজ্যে ঢুকছে কেন?
গত ২০ আগস্ট পান্ডবেশ্বরের রামনগর ৩ নম্বর কোলিয়ারি এলাকায় তল্লাশি চালাতেই পুলিসের জালে পড়ে এক দুষ্কৃতী। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি কার্বাইন-সব বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক অস্ত্র। ওই দুষ্কৃতীকে বেশ কিছুদিন ধরেই খুঁজছিল পুলিস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রামনগরে শিবু পাসোয়ান নামে ওই দুষ্কৃতীর নাগাল পেয়ে যায় পুলিস। এই শিবু কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুনীল পাসোয়ান ওরফে শোলের সাকরেদ। ধৃত শিবুর কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি কার্বাইন, একটি ৯ এমএম পিস্তল ও একটি অত্যাধুনিক রাইফেল।
গতমাসের ১ তারিখে নাকা চেকিং চলাকালীন পাণ্ডবেশ্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সুনীল পাসোয়ান ওরফে শোলেকে। হেফাজতে নিয়ে সুনীলকে জেরা করার পর শিবুর সন্ধান পায় পুলিস। এরপর পাণ্ডবেশ্বরের রামনগর ৩ নম্বর কোলিয়ারি এলাকা সংলগ্ন একটি মন্দির থেকে শিবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এরপরই পুলিসি জেরার মুখে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলির সন্ধান দেয় শিবু। মাটির তলায় চাপা দিয়ে রেখেছিল ওই নাইন এমএম কারবাইন। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নাইন এমএম কারবাইন। কারণ এই অত্যাধুনিক কারবাইন ফোর্সই একমাত্র ব্যবহার করে। আর এই আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করে মাওবাদীরা ব্যাবহার করতো। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি(ইস্ট )অভিষেক গুপ্তা জানান, সুনীল পাসোয়ানের কাছেও একটি কারবাইন ছিল, এবার মিলল শিবুর কাছ থেকে। এখন পুলিস খতিয়ে দেখছে এই অস্ত্র আর কার কার কাছে তারা বিক্রি বা মজুদ রেখেছে।