হাওড়ায় ফের প্রশ্নের মুখে দমকল, আগুন নেভাতে নেই সাধারণ পরিকাঠামোই
হাওড়ার আলমপুরের অগ্নিকাণ্ড ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দমকলের অসহায় অবস্থাটা। রাসায়নিক দাহ্য বোঝাই কারখানায় আগুন। কিন্তু দমকল কর্মীরা কাজে নামলেন মাস্ক, হিটপ্রুফ জ্যাকেট ছাড়াই। ঘিঞ্জি এলাকায় ঢোকার মতো গাড়ির সংখ্যাও হাওড়ায় হাতে গোনা।
ওয়েব ডেস্ক : হাওড়ার আলমপুরের অগ্নিকাণ্ড ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দমকলের অসহায় অবস্থাটা। রাসায়নিক দাহ্য বোঝাই কারখানায় আগুন। কিন্তু দমকল কর্মীরা কাজে নামলেন মাস্ক, হিটপ্রুফ জ্যাকেট ছাড়াই। ঘিঞ্জি এলাকায় ঢোকার মতো গাড়ির সংখ্যাও হাওড়ায় হাতে গোনা।
আলমপুরের কারখানায় ভয়াবহ আগুন। খবর পেয়েই পৌছল দমকল। কিন্তু তারপর?
কার্যত অস্ত্র ছাড়াই যুদ্ধে নামতে হল তাদের। রাসায়নিক দাহ্য পুড়ছে। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আগুনের দাপট। কার্যত সেই প্রচুর তাপ আর ধোঁয়ার সঙ্গে লড়াই করার কোনও সরঞ্জামই ছিল না দমকলের হাতে। কোথায় মাস্ক, কোথায় হিটপ্রুফ জ্যাকেট! মুখে রুমাল চাপা দিয়ে আগুন নেভাতে নামলেন দমকল কর্মীরা।
আরও পড়ুন- থার্মোকলের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, দমকলের ২৩টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন আয়ত্বে
শুধু মাস্ক বা জ্যাকেট নয়। হাওড়ায় দমকলের অন্য পরিকাঠামোও প্রশ্নের মুখে। শিবপুর, উত্তরপাড়া, লিলুয়া, বালি চারটি দমকল কেন্দ্র রয়েছে হাওড়া ডিভিশনে। ৪টি স্টেশন মিলিয়ে মাত্র একটি ওয়াটার কেরিয়ার, তিনটি ওয়াটার টেন্ডার আছে। ঘিঞ্জি এলাকার সরু গলি দিয়ে ঢুকতে প্রয়োজন মিড সাইজ ওয়াটার টেন্ডার। হাওড়া ডিভিশনের হাতে তা রয়েছে মাত্র একটি। ফায়ার স্টেশনে কর্মীর সংখ্যাও কম।
এই পরিস্থিতিতে কলকাতার বড়বাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং হাওড়ার সালকিয়া ও উলুবেড়িয়া থেকে দমকলের গাড়ি যায় ঘটনাস্থলে। কবে ফিরবে হুঁশ? স্থানীয়রা বলছেন এই কারখানা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এমন বেশ কিছু বেআইনি কারখানা ছড়িয়ে রয়েছে এই এলাকায়। বৃহস্পতিবারের আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করবে দমকল। ঘটনা ঘটার পর তদন্ত হয়। এখানেও হবে। কিন্তু কত দিন এই বেআইনি কারখানগুলি চলবে? তা নিয়ে কি কিছু করবে না প্রশাসন? সে প্রশ্নই তুলছেন আলমপুরের মানুষ।