Awas Yojana: ঘর না থেকেও নাম নেই! 'প্রাসাদ'-এর মালিক হয়েও আবাসের খাতায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা...
Malda: যাদের প্রত্যেকের রয়েছে পাকা বাড়ি। কিন্তু যার কাঁচা বাড়ি প্রথমে তালিকায় নাম থাকার পরেও পরবর্তীতে কাটা হল নাম। নেপথ্যে ১০ হাজার টাকা কাটমানি না দিতে পারায় বাদ গেল নাম বলে অভিযোগ এক উপভোক্তার। অভিযোগের তীর তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার দিকে।
রণজয় সিংহ: আবাস যোজনার তালিকায় প্রাসাদ প্রমাণ অট্টালিকা থাকা রেশন ডিলারের নাম। নাম রয়েছে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার আত্মীয়দেরও। যাদের প্রত্যেকের রয়েছে পাকা বাড়ি। কিন্তু যার কাঁচা বাড়ি প্রথমে তালিকায় নাম থাকার পরেও পরবর্তীতে কাটা হল নাম। নেপথ্যে ১০ হাজার টাকা কাটমানি না দিতে পারায় বাদ গেল নাম বলে অভিযোগ এক উপভোক্তার। অভিযোগের তীর তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার দিকে। তালিকার এই ভ্রান্তি বিডিওর নজরে আসতেই শুরু হল নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া। দুর্নীতি এবং স্বজন পোষণ নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির। নাম ছিল অনেকের কিন্তু তাদের নাম কাটা হয়েছে দাবি তৃণমূলের প্রধানের স্বামীর। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাকুল গ্রাম। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আবাস প্লাসের সার্ভে শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন পঞ্চায়েতে প্রাথমিক আবাস যোজনার নামের তালিকা এসেছে। বহু এলাকায় ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। এবার এই সোনাকুল গ্রামে আবাস যোজনার তালিকায় দেখা গেল ব্যাপক ভুল-ভ্রান্তি। ওই এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্নারা খাতুন। স্বামী কাজী নজরুল ইসলাম ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। বাড়িতে উপরে টালির চাল, মাটির দেওয়াল। ভগ্নপ্রায় দশা ঘরের। অর্থাভাবে পাকা বাড়ি করতে পারেননি। নাম ছিল আবাস যোজনার তালিকায়। আবাস প্লাসের সার্ভের সময় প্রতিনিধিরা এসেছিলেন তার বাড়িতে। কিন্তু তারপরে হঠাৎ তালিকা থেকে বাদ চলে গেল নাম। ওই উপভোক্তার অভিযোগ তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা তার কাছে ১০ হাজার টাকা কাটমানি চেয়েছিল। তিনি দিতে পারেননি বলে নাম বাদ গিয়েছে, বলেই অভিযোগ। অথচ এলাকার রেশন ডিলার থেকে শুরু করে তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যার আত্মীয়দের যাদের পাকা বাড়ি। তাদের নাম রয়েছে তালিকায়।
আরও পড়ুন:WB Weather Update: সপ্তাহান্তে হাড় কাঁপানো শীত! বৃষ্টির সম্ভাবনা কোন কোন জেলায়?
পঞ্চায়েত সদস্যা লুৎফুন নেসার দেওর এলাকার রেশন ডিলার রফিকুল ইসলামের নামও রয়েছে এই তালিকায়। যার অট্টালিকার মত বাড়ি রয়েছে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের সামনে রফিকুলের দাবি ২০১৮ সালের তালিকায় তার নাম ছিল তখন তিনি ডিলার ছিলেন না। এখন কি ভাবে নাম আছে সেটা জানেন না। এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর মালিয়র ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাবলি খাতুনের স্বামী ফিরোজ হোসেন মেনে নিয়েছেন এরকম অনেকের নাম ছিল তালিকায়। তার সাফাই প্রত্যেকের নাম কাটা হয়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর আপাতত প্রাথমিক তালিকা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাদের অভিযোগ আসবে সেই ভাবে নাম বাদ যাবে সুপার চেকিংএর পর। বিজেপির অভিযোগ সমস্তটাই দুর্নীতি হচ্ছে। যেটা এর আগেও তৃণমূল করে ছিল। বিডিও তাপস কুমার পাল জানিয়েছেন, অনেকে সার্ভের সময় মিসগাইড করতে পারে। তাই প্রাথমিক তালিকার পর অভিযোগের ভিত্তিতে সুপার চেকিং করে চূড়ান্ত তালিকা হবে। এরকম যাদের নাম থাকবে নাম বাদ যাবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)