দেওরের কুপ্রস্তাবে রাজি হননি, পেটে লাথি মেরে খুন গৃহবধূ
আড়াই বছর আগে দমনটোলা গ্রামের ফটিক মণ্ডলের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল বিয়ে হয়। এরপর থেকেই শারীরিক হেনস্থার শিকার প্রিয়াঙ্কা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কুপ্রস্তাবে প্রতিবাদ। পেটে লাথি মেরে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। মালদার ভূতনি থানার দমনটোলা গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে নানা কারণে অকথ্য নির্যাতন চলত, খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে, অভিযোগ বধূর পরিবারের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আড়াই বছর আগে দমনটোলা গ্রামের ফটিক মণ্ডলের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল বিয়ে হয়। এরপর থেকেই শারীরিক হেনস্থার শিকার প্রিয়াঙ্কা। দেওরের আপত্তিকর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পেটে লাথি মারা হয়। জোর করে খাওয়ানো হয় ট্যাবলেট। অভিযোগ, এরপরই মৃত্যু হয় গৃহবধূর।
আরও পড়ুন: 'মার খেয়ে ফোন করবেন না, ওরা দুটো দিলে চারটে দিয়ে আসবেন', দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিলীপের
বাপের বাড়ির আত্মীয়রা হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু প্রিয়াঙ্কার। পেটে অসহ্য ব্যথা হলেও চিকিত্সা হয়নি। জোর করে খাওয়ানো হয় ট্যাবলেট। ভূতনি থানায় এমনটাই অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। ফটিকের প্ররোচনায় প্রিয়াঙ্কাকে মেরে ফেলা হয়েছে, দাবি মৃতার পরিবারের। তাঁদের অভিযোগ, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আপত্তি ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই অশান্তি চলত। দেওরের কুপ্রস্তাবে প্রতিবাদ করেনি স্বামীও।
তবে কী কারণে এই মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। পেটে লাথি নাকি ট্যাবলেটের বিষক্রিয়া কেন মৃত্যু গৃহবধূর, স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় খুন? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে মৃত্যুর পিছনে? তদন্তে পুলিস।