রোগীর ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে আসানসোল জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
আসানসোল জেলা হাসপাতালে রোগীর ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভিড়ে রোগীদের অবস্থাও তথৈবচ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে চিকিত্সা পরিষেবা ভাল হওয়ায় রোগীদের প্রথম পছন্দ আসানসোল হাসপাতাল। তাই ভিড়।
ওয়েব ডেস্ক: আসানসোল জেলা হাসপাতালে রোগীর ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভিড়ে রোগীদের অবস্থাও তথৈবচ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে চিকিত্সা পরিষেবা ভাল হওয়ায় রোগীদের প্রথম পছন্দ আসানসোল হাসপাতাল। তাই ভিড়।
সারাদিনের প্রোগ্রাম। প্রথমে টিকিটের লাইন। টিকিট কেটে ডাক্তার দেখানোর জন্য আবার লাইন। এবার লাইন ওষুধ নেওয়ার। স্বাভাবিক ভিড় থাকলে প্রতিটি লাইনেই অন্তত ঘন্টা দেড়েক দাড়াতেই হবে। আর সোমবার কিন্তু সময় লাগে আরও বেশি। এটাই আসানসোল জেলা হাসপাতালের নিত্যদিনের বাস্তব চিত্র।
অথচ চিকিত্সক সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে।
আগে শিশু চিকিত্সক ছিলেন ২ জন, এখন ৬
অস্থি চিকিত্সক ছিলেন ১ জন, এখন ৩ জন
শল্যচিকিত্সক ছিলেন ২ জন, এখন ৩ জন
মেডিসিন বিভাগে ছিলেন ২ জন, এখন ৪ জন
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ জন
চর্ম রোগ বিভাগে কেউ ছিলেন না, এখন ২ জন চিকিত্সক
চোখ, দাঁত, ইএনটি প্রত্যেক বিভাগেই বেড়েছে চিকিত্সক
এখন অপারেশন থিয়েটারে একসঙ্গে চার জনের অপারেশন হয়। বেড়েছে টেকশিয়ান , নার্স ও সিস্টারের সংখ্যা, তাহলে---এত ভিড় কেন ? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন , সরকারি হাসপাতালে মানুষের ভরসা বেশি, তাই ভিড়।
সুপারের আরও দাবি আসানসোল হাসপাতালে প্রত্যেকদিন কুড়ি জনের বিনা খরচে ডায়ালিসিস হয়। হয় প্রায় সব চিকিত্সাই। বেশিরভাগ ওষুধ মেলে বিনা পয়সায়। ভিড় তো হবেই। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হবে। তখন সমস্যা থাকবে না।