Malda School: অঙ্কের ক্লাস নেন গ্রুপ ডি কর্মী, সাফাই কর্মী চালান কম্পিউটার, আজব স্কুল চলছে মালদহে

Malda School:স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সামসুল আলম বলেন, স্কুলে খাতা কলমে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে ১৫০ জন নিয়মিত আসে

Updated By: Aug 13, 2024, 01:27 PM IST
Malda School: অঙ্কের ক্লাস নেন গ্রুপ ডি কর্মী, সাফাই কর্মী চালান কম্পিউটার, আজব স্কুল চলছে মালদহে

রণজয় সিংহ: মাধ্যমিক স্কুল। পড়ুয়া আছে কিন্তু স্থায়ী শিক্ষক নেই! তিনজন অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছে স্কুল। গ্রুপ ডি কর্মী নিচ্ছেন ক্লাস। সাফাই কর্মী চালান কম্পিউটার। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের গভর্মেন্ট মডেল স্কুলটি ৮ বছর ধরে শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে। শিক্ষক নিয়োগের কোনো উদ্যোগ নেই সরকারের বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। সরকারের উদাসীনতার কারণে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন-সকালে ইস্তফা, বিকেলেই বহাল! সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়...

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের বিতোল গ্রামে সাড়ে তিন একর জমির উপরে ২০১৬ সালে স্কুলটি গড়ে উঠে। ২০১৭ সাল থেকে পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত অস্থায়ী অতিথি শিক্ষক দিয়ে পঠন পাঠন শুরু হয়। এরপর এক এক করে সব শিক্ষক অবসর নেন। ২০২১ সালে একজন স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হলেও তিনি ২০২৩ সাল থেকে বিএড ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৬ টি ক্লাসে ১৮৫ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ওই শিক্ষকদের। একটি ক্লাস নিতে গেলে অন্য ক্লাস ফাঁকা থাকছে। ফলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা কাঙ্খিত
মানের পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে; অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন অভিভাবকরাও।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সামসুল আলম বলেন, স্কুলে খাতা কলমে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে ১৫০ জন নিয়মিত আসে। একজন স্থায়ী শিক্ষক ও তিন জন অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক রয়েছে। স্থায়ী শিক্ষক বিবেকানন্দ মাহাত দেড় বছর ধরে বিএড ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। স্কুলে পরিকাঠামোর অভাব নেই। অভাব রয়েছে শিক্ষকের। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৬ টি ক্লাস রয়েছে। ২৫ টি শ্রেণি কক্ষ,২ টি ল্যাব,খেলাধুলার মাঠ ও মিড ডে মিলের খাওয়ার জন্য ডাইনিং রুম রয়েছে। একজন অস্থায়ী ক্লার্ক, দুই জন অস্থায়ী গ্রুপ ডি কর্মী ও দুইজন সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে। এছাড়া একজন অবৈতনিক সাফাই কর্মী ও একজন মহিলা কর্মী রয়েছে।

গত দুই বছর থেকে মাধ্যমিক চালু হয়েছে। এবছর মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮। বাংলা,ইতিহাস ও  জীবন বিজ্ঞান অস্থায়ী শিক্ষকরা ক্লাস নিয়ে থাকেন। সিলেবাস যাতে সময়ের মধ্যে শেষ করা যায় তার জন্য গ্ৰুপ ডি কর্মীরা ভূগোল ও অংক ক্লাস নিয়ে থাকেন। এভাবেই চলছে স্কুল।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.