সরকারি হাসপাতালে চালু হচ্ছে বিলাসবহুল কেবিন, কোনটায় কত খরচ বেঁধে দিল রাজ্য সরকার
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে এসএসকেএম বা এমআর বাঙুর হাসপাতাল সর্বত্র কেবিন তৈরির কাজ শেষ হলেও নির্দিষ্ট গাইডলাইন না থাকায় পরিষেবা আটকে ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিলাসবহুল কেবিন। যেখানে ন্যূনতম টাকা দিয়েই থাকতে পারবেন রোগীর পরিবার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে এসএসকেএম বা এমআর বাঙুর হাসপাতাল সর্বত্র কেবিন তৈরির কাজ শেষ হলেও নির্দিষ্ট গাইডলাইন না থাকায় পরিষেবা আটকে ছিল। তবে এবার নির্দিষ্ট গাইডলাইন দিয়ে বেঁধে দেওয়া হল খরচ।
প্রায় বছর খানেক ধরে সরকারি হাসপাতালের এই বিলাসবহুল কেবিন ভাড়া নিয়ে বিতর্ক চলছিল। এবার সরকারি হাসপাতালের সেই বিলাসবহুল কেবিনের খরচ বেঁধে দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের অর্থ দফতরের অনুমতি পাওয়ার পরই সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
১ জুলাই এসএস হাসপাতালে চিকিৎসক দিবসে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব সরকারী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কে sskm র উডবার্নের ধাঁচে কেবিন বানিয়ে টাকা নিয়ে আধুনিক ঝাঁ চকচকে পরিবেশে পরিষেবা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এবার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কত কেবিন ভাড়া নেওয়া হবে, আটেন্ডেন্ট খরচ কত, কী কী পরিষেবা মিলবে তার নির্দিষ্ট বিবরণ রয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কত টাকায় মিলবে কী পরিষেবা।
এ ক্ষেত্রে তিন রকমের কেবিন থাকছে। ডাবল শেয়ারিং, সিঙ্গল ও সেমি লাগজারি। সিঙ্গল লাগজারি। জেলা হাসপাতালে এগুলির ভাড়া যথাক্রমে ৭৫০, ১০০০ এবং ১৫০০ টাকা। জেলার মেডিক্যাল কলেজে ভাড়া যথাক্রমে ১০০০, ১৫০০ এবং ২০০০ টাকা করে। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলি ভাড়া যথাক্রমে ২০০০, ২৫০০ এবং ৪০০০ টাকা। কলকাতায় ওই কেবিনে অ্যাটেন্ডেন্ট রাখতে দিনে ৭৫০ টাকা লাগবে। জেলার ক্ষেত্রে তা দিনে ৬০০ টাকা। জেলা বা কলকাতায় আইসিইউ পরিষেবার প্রয়োজন হলে তার জন্য অতিরিক্ত ১০০০ টাকা করে দিতে হবে। খাওয়া, ওষুধ, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের খরচ জোগাতে হবে রোগীর পরিবারকেই।
যদিও রোগীর কেবিনে অ্যাটেন্ডেন্টের যোগ্যতার মাপকাঠির উল্লেখ নেই। কে কীভাবে সেখানে কাজ করবেন তারও কোনও উলেখ নেই। তবে এক্ষেত্রেও উঠেছে প্রশ্ন। একাংশের অভিযোগ, ঘুরপথে সরকারি হাসপাতালে ব্যবসা শুরু করছে সরকার। যেখানে এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা কম সেখানে চিকিৎসকরা উডবার্ন ওয়ার্ডে সময় দিলে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।