বোধনের আলোয় উদ্ভাসিত মাতৃমূর্তি
মা , মাগো, শান্তি দাও মা! বাঁচিয়ে রাখো না। ভালো রেখো মা!
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'মা আসছেন মা আসছেন' নয় আর; মা এ বার এসে গিয়েছেন। হয়ে গিয়েছে বোধন।
বোধন তো বিল্ববৃক্ষমূলেই হয়। কিন্তু এখন আর বিল্ববৃক্ষ কই! এখন তাই ক্লাবে-ক্লাবে, বারোয়ারিতে-বারোয়ারিতে, মণ্ডপে-মণ্ডপে, বনেদি বাড়ির ঠাকুরদালানে, গ্রামের নিভৃত আটচালায় মায়ের বোধন হয়।
এ বারেও হল। জ্বলে উঠল সন্ধ্যাপ্রদীপ। জ্বলে উঠল ধূপ। পুষ্প-পল্লবে গন্ধচন্দনে আমোদিত পুজোর আসরে মা যেন জীবন্ত হয়ে উঠলেন! অদূরে কোথাও ফুটেছে শিউলি, দূর কোনও নদীতীর আলো করে আছে কাশগুচ্ছ, জলাশয়ে ফুটে রয়েছে রক্তকমল। বাঁশি বেজে উঠেছে উৎসবের। তবুও কোথাও যেন একটা বড় 'কিন্তু' উঁকি দিচ্ছে.....
করোনাভীতি, নিম্নচাপ-আতঙ্ক, দ্রব্যমূল্য-আগুন-- এই ত্র্যহস্পর্শে নিষ্পেষিত বাঙালি এখন, এই মহাষষ্ঠীর আনন্দসন্ধ্যায়, মায়ের আলো-উদ্ভাসিত মূর্তির সামনে করজোড়ে দাঁড়িয়ে তাই মনে মনে প্রার্থনা করছে: মা , মাগো, শান্তি দাও মা! বাঁচিয়ে রাখো না। ভালো রেখো মা!
আরও পড়ুন: আব্দুলের হয়ে মহম্মদ রফিই লড়ছেন করোনার সঙ্গে