বাড়িতে একে পর এক দুর্ঘটনা! প্রশাসনকে প্রাচীন মূর্তি ফিরিয়ে দিল কাটোয়ার ঘোষ পরিবার
মূর্তিটি গেল মিউজিয়ামে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাজার বছরের বেশি পুরানো একটি দেবীমূর্তি। পুকুর থেকে উদ্ধার করার পর মূর্তিটি বাড়িতে রেখে পুজো করছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বাড়িতে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে! আতঙ্কে শেষপর্যন্ত ওই মূর্তিটি প্রশাসনের হাতে তুলে দিলেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বেড়াগ্রামে।
জানা গিয়েছে, গত ২৫ মার্চ এলাকার একটি পুকুর খোঁড়ার সময়ে সাড়ে তিন ফুট উচ্চতা ওই মুর্তিটি উদ্ধার হয়। ওই পুকুরটি যাদের, সেই ঘোষ পরিবারের সদস্যরা মূর্তিটি নিজেদের বাড়ি রেখে দিয়েছিলেন। বাড়ির মহিলাদের জানিয়েছেন, ওই মূর্তিটি চণ্ডী (chandi)রূপে পুজো করেছেন। কিন্ত এখন সকলেই আতঙ্কিত। কেন? ঘোষ পরিবারের সদস্য়দের দাবি, যেদিন থেকে ওই দেবীমূর্তিটিকে ঘরে তোলা হয়েছে সেদিন থেকেই তাঁদের বাড়িতে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার হলদি নদীতে টর্নেডো! আতঙ্ক ছড়াল হলদিয়া বন্দরে
গতকাল সাংবাদিকদের মাধ্যমে মূর্তি প্রশাসনকে ফেরত দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন ওই পরিবারের সদস্য দিলীপ ঘোষ। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মূর্তিটি কাটোয়া মহকুমা গ্রস্থাগারের মিউজিয়ামে রাখার ব্যবস্থা করেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এদিন স্থানীয় পুর প্রশাসক ও পুলিসের উপস্থিতিতে কাটোয়া মহকুমা গ্রস্থাগারের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হল মূর্তিটি।
আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীর আগে সুখবর, ওড়িশা থেকে দিঘায় এল বিপুল ইলিশ
কিন্তু মূর্তিটি কীসের? কী বৃত্তান্ত তার? স্থানীয় গবেষকদের দাবি, দেবীমূর্তিটি বৌদ্ধতন্ত্রের (buddhist) দেবী মারীচ। কাটোয়ার দাঁইহাট ও বেড়াগ্রাম অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় একসময় বৌদ্ধ সংস্কৃতির রমরমা ছিল। এই এলাকায় একসময় প্রচুর বৌদ্ধ উপাসক ছিলেন। বৌদ্ধ সংস্কৃতির ছাপ এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে এ অঞ্চলে। যে-পুকুর থেকে মূর্তিটি পাওয়া গিয়েছে সেখানেও মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে।