বাড়িতে ঢুকে প্রৌঢ়াকে রাতভর ‘গণধর্ষণ’, অভিযোগ নিল না পুলিশ
মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগর থানায় যান প্রৌঢ়া। অভিযোগ, সব ঘটনা বলা সত্ত্বেও পুলিস গণধর্ষণের অভিযোগ নিতে চায়নি। কেবল মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ নেয় পুলিস। এই মর্মে প্রৌঢ়াকে দিয়ে একটি সাদা কাগজে লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
নিজস্ব প্রতিনিধি: মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, ছেলে থাকেন অন্যত্র। বাড়িতে একাই থাকেন বিধবা প্রৌঢ়া। সোমবার রাতে এলাকারই তিন যুবকের যৌন লালসার শিকার হতে হল তাঁকে। বাড়িতে ঢুকে রাতভর গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। চলে অকথ্য অত্যাচারও। অথচ, পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। বরং প্রৌঢ়াকে দিয়ে সাদা কাগজে লিখিয়ে নেওয়া হল কেবল মারধরের অভিযোগ। কৃষ্ণনগরের রেলগেট কলোনির এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে কৃষ্ণনগর থানার পুলিসের বিরুদ্ধেও।
আরও পড়ুন: কলেজগুলির ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রাজ্যের
নির্যাতিতার মহিলার অভিযোগ, অন্যান্য দিনের মতো সোমবার রাতেও ঘরে একাই ছিলেন তিনি। আচমকাই সরজিত্ দুলে, পিন্টু শেখ ও রবি বসাক নামে এলাকারই তিন যুবক তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। রাতভর গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। বাধা দিলে বেধড়ক মারধরও করে অভিযুক্তরা। সকাল হতেই পালিয়ে যায় তিন দুষ্কৃতী। স্থানীয়রাই ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করেন।
মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগর থানায় যান প্রৌঢ়া। অভিযোগ, সব ঘটনা বলা সত্ত্বেও পুলিস গণধর্ষণের অভিযোগ নিতে চায়নি। কেবল মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ নেয় পুলিস। এই মর্মে প্রৌঢ়াকে দিয়ে একটি সাদা কাগজে লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: শীতের দুর্দশায় খলনায়ক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা
নির্যাতিতা কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে তাতে। কিন্তু পুলিস কেন গণধর্ষণের অভিযোগ নিতে চাইল না? কেন অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিস, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন নদিয়ার পুলিস সুপার শিশরাম ঝাঝরিয়া। যদিও চাপে পড়ে পরে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।