২৪ ঘন্টায় রাজ্যে মৃত আরও ৪, মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর

উত্তরবঙ্গে প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হওয়া মহিলার সঙ্গে একই কোয়ারেন্টাইনে চিকিত্সা চলছিল পেশায় রেলকর্মী এক ব্যক্তির। প্রথমে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Updated By: Apr 5, 2020, 01:37 PM IST
২৪ ঘন্টায় রাজ্যে মৃত আরও ৪, মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদনগত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে মৃত্যু হল আরও চার জনের। ‌ এদের চারজনই করোনা পজেটিভ ছিলেন। তবে করোনাই এদের মৃত্যুর কারণ কিনা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।

রবিবার সকালে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৫৯ বছর বয়সী শেওড়াফুলির এক বাসিন্দার। তাঁর শরীরে করোনা পজেটিভ মেলে। গত ২৮ মার্চ থেকে ভর্তি ছিলেন ওই ব্যক্তি। শনিবার রাতে পিয়ারলেস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও এক করোনা আক্রান্তের। কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আমহার্স্ট স্ট্রিটের ৪৯ বছর বয়সী ওই মহিলা। তাঁর শরীরেও করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। অন্যদিকে এনআরএস এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। তাঁদের করোনার চিকিত্সা চলছিল বলে খবর।

উত্তরবঙ্গে প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হওয়া মহিলার সঙ্গে একই কোয়ারেন্টাইনে চিকিত্সা চলছিল পেশায় রেলকর্মী এক ব্যক্তির। প্রথমে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে, চিকিত্সকরা তাঁকে ছুটি না দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখেন। ফের পরীক্ষা হয় তাঁর। এরপর ওই ব্যক্তির করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

আরও পড়ুন- লকডাউনের বাজারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে রেশনে কারচুপি, জেলে ডিলার

এনআরএস-এ ৩৪ বছর বয়সী যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তাঁর কোনও ট্রাভেল রেকর্ড নেই বলে খবর। চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ, বেলেঘাটা হাসপাতাল ঘুরে গত সোমবার ভর্তি হন এনআরএস-এ। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্ট আসার আগেই করোনা পজেটিভ আক্রান্তের মৃত্যু হয়। সূত্রে খবর, ওই রোগীর চিকিত্সারত ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ মোট ৫০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।    

এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১। শনিবার মেডিকেল বুলেটিন অনুযায়ী মোট মৃতের সংখ্যা ছিল ৭। যার মধ্যে ৩ জন শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৪ জনের অন্যান্য রোগে মৃত্যু হয়। কিন্তু তাঁরা করোনা পজেটিভ ছিলেন। কিন্তু নতুন করে ৪ জনের মৃত্যুতে অন্য কোনও রোগের হাত রয়েছে কিনা, এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।  

.