Sonajhuri Haat in Shantiniketan: ভিড়ের চাপে বিপন্ন খোয়াই, বন্ধ হতে পারে সোনাঝুরির হাট!

Birbhum: এবার শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটের বেশকিছু এলাকা ঘিরে দিতে চলেছে বন দফতর। মঙ্গলবার ফিতে ফেলে শুরু হল জায়গার মাপামাপির কাজ। তাতেই শুরু হয়েছে চর্চা। বন দফতর জায়গা ঘিরে দিলে ব্যবসায় সমস্যার আশঙ্কা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। 

Updated By: Apr 9, 2024, 08:41 PM IST
Sonajhuri Haat in Shantiniketan: ভিড়ের চাপে বিপন্ন খোয়াই, বন্ধ হতে পারে সোনাঝুরির হাট!

প্রসেনজিৎ মালাকার: শান্তিনিকেতনের(Shantiniketan) অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সোনাঝুরির(Sonajhuri Haat) খোয়াই হাট(Khoai)। সারাবছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত। প্রায় ২০ বছর আগে শান্তিনিকেতনের বনদপ্তরের জায়গায় হাট চালু হয় নিছকি কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী ও হস্তশিল্পীদের উদ্যোগে। বর্তমানে শুক্র থেকে রবি ছাড়াও প্রতিদিন হাটে কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা। বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ স্থল হল এই হাট। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রের জন্য ওই এলাকার জঙ্গল নষ্ট হচ্ছে বলে পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ। 

আরও পড়ুন- Dev: 'আমি জিতবই', উত্তরবঙ্গে প্রচারে আত্মবিশ্বাসী দেব...

পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, চারচাকা গাড়ি, টোটো দৌরাত্ম্য ছাড়াও জঙ্গলে মাটি চুরি, একের পর এক গাছ নষ্ট। বন দপ্তরের জায়গায় অবৈধ নির্মাণ, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা হোটেল ও রিসোর্টে প্রাকৃতিক হাটটি সৌন্দর্য হারিয়ে ক্রমশ কৃত্রিম হাটে পরিণত হচ্ছে। এবার জঙ্গল বাঁচাতেই পিলার দিয়ে চিহ্নিতকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করল বনদপ্তর।  বীরভূমের জেলার বনদপ্তরের আধিকারিক দেবাশীষ মহিমা প্রসাদ প্রধান জানান," সোনাঝুরি হাটকে নিজেদের সীমানায় আয়ত্তের মধ্যে আনতে চলেছে বনদপ্তর। বন দফতরের অধীনে থাকা জমি চিহ্নিতকরণ ছাড়াও শীঘ্রই ১২১ কিলোমিটার জঙ্গলে পিলার দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সীমানা সুরক্ষিত করতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। জীববৈচিত্র্যের কথা মাথায় রেখেই জঙ্গলের ক্ষতি কোনও ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।"

আরও পড়ুন- Director's Daughter Death: পারিবারিক অশান্তি থেকেই চরম সিদ্ধান্ত! হোটেল থেকে উদ্ধার জনপ্রিয় বাঙালি পরিচালকের মেয়ের দেহ...

তাতেই বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় হস্তশিল্পী, কুটিরশিল্পী ও আদিবাসীশিল্পীরা বিকিকিনি উদ্দেশ্যেই জঙ্গলের মধ্যেই হাটে বসছেন। হাটকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার মহিলার স্বনির্ভর হয়েছেন, আয়ের নতুন উৎস পেয়েছেন। কিন্তু বন দফতর জায়গাটি ঘিরে ফেললে সেখানে হাটের আর অস্তিত্ব থাকবে না বলে আশঙ্কা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। ফলে বিপাকে পড়বেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কথায়," বনদপ্তর জঙ্গলের সীমানা দিতেই পারে। রুটি রুজির প্রশ্নে হাটে বসা  প্রায় ১৭০০ শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি না পড়লেই হল।"

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.