মণীশ খুনে অর্জুনকেই কি নিশানা ফিরহাদের? একের পর এক প্রশ্ন তুলে যুক্তি পেশ পুরমন্ত্রীর
কেন অর্জুন সিং গাড়ি থেকে নেমে গেলেন? কেন সেইসময়ই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ফোন এল?
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকেই কার্যত নিশানা করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। খুনের ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুললেন পুরমন্ত্রী।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ বলেন, "মনীশের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখের। অর্জুনের চাপে বিজেপি করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু বিজেপিতে ভালো ছিল না শুনেছি। অশান্তিতে ছিল শুনেছি। তাই তৃণমূলে আবার ফিরতে চাইছিল, এমনটাও শুনেছি। সেই কারণেই কি খুন?" প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ। প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেস করা মণীশ শুক্লা ২০১৬-তে অর্জুন সিংয়ের হাত ধরেই বিজেপিতে নাম লেখান।
প্রসঙ্গত, কালও অর্জুন সিংয়ের সঙ্গেই একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মণীশ শুক্লা। ফেরার সময় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ফোন আসায় অর্জুন সিং নেমে যান। আর টিটাগড় ফিরে যান মণীশ শুক্লা। ফেরার পর গাড়ি থেকে নামতেই টিটাগড় থানার সামনে তাঁর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মোট ১৪টা গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান মণীশ শুক্লা। মাথায়, ঘাড়ে, গলা আর বুকের মাঝে বুলেট লাগে। কলকাতায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন ফিরহাদ হাকিম। কেন অর্জুন সিং গাড়ি থেকে নেমে গেলেন? কেন সেইসময়ই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ফোন এল? অর্জুন সিং যেখানে আধাসেনার নিরাপত্তা পান, সেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে কেন মণীশ শুক্লার কোনও বডিগার্ড ছিল না? এই সমস্ত প্রশ্নকে সামনে রেখে মণীশ শুক্লা খুনে বিজেপি শিবিরকে নিশানা করেছেন ফিরহাদ হাকিম।
একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "যে অস্ত্র ব্যবহার করে মণীশ শুক্লাকে খুন করা হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গের অপরাধীরা ব্য়বহার করতে পারে না। তাহলে কি বাইরে থেকে ভাড়াটে খুনি আনা হয়েছিল? ভোটের সময়ও ব্যারাকপুর-ভাটপাড়ায় অশান্তিতেও কি বাইরের থেকে অপরাধী আনা হয়েছিল?" প্রশ্ন পুরমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় উদ্ধার হওয়া বুলেট নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। 9mm কার্বাইন দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এধরনের আগ্নেয়াস্ত্র আততায়ী কোথা থেকে পেল, তা নিয়ে ধন্দে খোদ পুলিসও।
আরও পড়ুন, সরকারি হাসপাতালে 'বিনা চিকিৎসায়' মৃত্যু বিজেপি নেতার!