করোনা-আমফানে জেরবার মুর্শিদাবাদের কৃষকরা, পাশে দাঁড়ালেন জেলা কৃষি দফতরের উপঅধিকর্তা

এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষি দপ্তর। মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষি দফতরের উপ কৃষিঅধিকর্তা তাপস কুমার  কুন্ডু চাষীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কীভাবে ধান এবং চাষীদের বাঁচানো যায় তার চেষ্টা করেন। 

Reported By: অধীর রায় | Updated By: May 24, 2020, 12:00 AM IST
করোনা-আমফানে জেরবার মুর্শিদাবাদের কৃষকরা, পাশে দাঁড়ালেন জেলা কৃষি দফতরের উপঅধিকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদন: জলে কুমীর, ডাঙায় বাঘ। এই জোড়া বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষকরা। কৃষি নির্ভর জেলা মুর্শিদাবাদে ৮০ থেকে ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। করোনার মধ্যে এই বোরো ধান কাটার একাধিক পদক্ষেপও করেছিল মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষি দপ্তর। মূলত কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার থ্রেসার-সহ একাধিক যন্ত্রপাতি দিয়ে এই ধান কাটার কাজ চলছিল। এর বাইরে এলাকার শ্রমিকদের দিয়ে বোরো ধান ঘরে তোলার কাজ চলছিল দ্রুত গতিতে।

আরও পড়ুন: আমফানের দাপটে নষ্ট লক্ষ লক্ষ টাকার পানের বরোজ, চোখে জল সর্বসৃহারা চাষীদের

ঠিক সেই সময় আমফানের প্রভাবে জেলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মুখে পড়েছেন চাষীরা। অনেকটা যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। লকডাউনের মধ্যে সব কিছু মেনে ধীরে ধীরে কষ্ট করে চাষিরা যখন ধান বাড়িতে তুলছিলেন, সেই সময় আগমণ আমফানের। ৮০ থেকে ৯০ হেক্টর জমির ধান রাতারাতি কেটে ঘরে তোলা সম্ভব নয়। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা পাওয়া পর থেকেই ধান কাটা চাষীরা শুরু করেন। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি,  সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করায় অনেক চাষীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন  কাটা মাঠের ফসল অর্থাৎ যে ফসল গুলি ইতিমধ্যেই কাটা হয়েছে সেগুলি তারা বাড়িতে তুলতে পারবেন কিনা।

এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষি দপ্তর। মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষি দফতরের উপ কৃষিঅধিকর্তা তাপস কুমার  কুন্ডু চাষীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কীভাবে ধান এবং চাষীদের বাঁচানো যায় তার চেষ্টা করেন। বুধবার সন্ধ্যায় আমফান আছড়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। তার আগে যতটা সম্ভব যে সমস্ত জায়গার ধান তোলা হয়নি, সেখানে কৃষক ভাইদের দ্রুত গতিতে ধান বাড়িতে তোলার ব্যবস্থা করেন  তাপস কুন্ডু।

আরও পড়ুন: আমফানের তাণ্ডব আম বাগানে, মরসুম আসার মুখেই তছনছ সমস্ত বাগান

সেইসঙ্গে কীভাবে ক্ষতি এড়ানো যায় সেই পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি  আশার কথা শুনিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষি দফতরের উপ কৃষি অধিকর্তা। তিনি জানিয়েছেন,  তারা গোটা জেলার বোরো ধানের উপর নজর রাখছেন। আর যে সমস্ত জায়গায় কৃষক ভাইরা আমফানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা যেন শস্য বীমা যোজনার ক্ষতিপূরণের জন্য অতি দ্রুত স্থানীয় কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করেন"। সব মিলিয়ে করোনা আর আমফানের জোড়া কামড়ে মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষকদের স্বস্তি  দিয়েছেন জেলার কৃষি দফতরের উপ কৃষি অধিকর্তা ।

.