জাতের নামে বজ্জাতি, একঘরে ভালবাসা
ভালবাসা মানে না জাত, মানে না বর্ণ-ধর্ম। বাড়ির অমতেই নিজেদের ভালবাসাকে পরিণতি দিয়েছিলেন মধুসূদন-রনিতা। কিন্তু তার পরিণতি যে ভয়ঙ্কর হবে, তা ভাবতেও পারেননি নবদম্পতি। কেবলমাত্র উচ্চবর্ণের মেয়েকে বিয়ে করাতেই সবংয়ের চাঁদকুড়ির ঘোড়াই পরিবার সমাজে আজ একঘরে। প্রশাসনের কাছে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভালবাসা মানে না জাত, মানে না বর্ণ-ধর্ম। বাড়ির অমতেই নিজেদের ভালবাসাকে পরিণতি দিয়েছিলেন মধুসূদন-রনিতা। কিন্তু তার পরিণতি যে ভয়ঙ্কর হবে, তা ভাবতেও পারেননি নবদম্পতি। কেবলমাত্র উচ্চবর্ণের মেয়েকে বিয়ে করাতেই সবংয়ের চাঁদকুড়ির ঘোড়াই পরিবার সমাজে আজ একঘরে। প্রশাসনের কাছে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।
আরও পড়ুন: আলিপুরে অ্যানাকোন্ডা! সিনেমা নয়, জ্যান্ত
আট মাসের গল্প। তাতেই যে বদলে যাবে জীবনটা, ভাবতেও পারেননি রনিতা ও মধুসূদন। একই গ্রামের বাসিন্দা দু’জনে। প্রথমে আলাপ-পরিচয়, তারপর কিছুদিন মেলামেশায় বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। প্রথম থেকেই রনিতা-মধুসূদনের সম্পর্ক মেনে নেয়নি রনিতার পরিবার। কারণ একটাই, সমাজে রনিতা ‘উচ্চবর্ণে’র মেয়ে। কিন্তু ভালোবাসার পরিণতি দিতে বাড়ির অমতেই মধুসূদনকে বিয়ে করেন রনিতা। বিয়ের পর কাজের সূ্ত্রে বাইরে চলে যান মধুসূদন। শ্বশুর, শাশুড়ি, জা-এর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন রনিতা। অভিযোগ, এরপর থেকেই সমাজে একঘরে হয়ে যায় ঘোড়াই পরিবার।
বাড়ির ধোপা-নাপিত কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ছমাস ধরে জুটছে না কাজও। একটি দোকান চালাতেন রনিতার শ্বশুর। সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চাষাবাদ করে কোনওরকম দিন গুজরান হত। সেটাও এখন বন্ধ। কী করবেন কোথায় যাবেন বুঝেই উঠতে পারছেন না সবংয়ের চাঁদকুড়ির বাসিন্দা কৃষ্ণপদ ঘোড়াই। আর গ্রাম্য সমাজে দুই বৌমা ও স্ত্রীকে নিয়ে অথৈ জলে প্রৌঢ়। পুলিসকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ ঘোড়াই পরিবারের।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথেই গাড়ি দুর্ঘটনা, মৃত ৫
ঘটনার খবর চাউর হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। বিশিষ্ট সমাজতত্ত্ববিদের কথায়, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পুলিস কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেটাই ভাবাচ্ছে। রাষ্ট্রব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে এই ঘটনা। আজকের দিনে এই ঘটনা কীভাবে ঘটে? বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের ভাবা উচিত।‘