ফেসবুকে স্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, থানায় ডেকে যুবককে বেধড়ক মার জেলাশাসকের

জেলাশাসক বলে ওঠেন, ‘তোমাকে আধ ঘণ্টার মধ্যে যদি থানায় ঢুকিয়ে দিতে পারি তাহলে তোমার বাড়িতে ঢুকেও মেরেও ফেলতে পারি।‘

Updated By: Jan 7, 2019, 09:33 AM IST
ফেসবুকে স্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, থানায় ডেকে যুবককে বেধড়ক মার জেলাশাসকের

নিজস্ব প্রতিবেদন: থানার মধ্যে যুবককে বেধড়ক পিটিয়ে বিতর্কে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল। জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি।

স্ত্রী সম্পর্কে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করার এক যুবককে ফালাকাটা থানায় ডেকে পাঠান নিখিল নির্মল। কোনও অভিযোগ দায়ের নয়, থানার ভেতরেই আইসি সৌমজিত রায়ের সামনে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করেন নিখিল ও তাঁর স্ত্রী। এমনই দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে।

আরও পড়ুন-২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই হ্যালকে বরাতের নথি দিয়ে রাহুলকে জবাব নির্মলা সীতারমনের   

জেলাশাসককে বলতে শোনা যায়, ‘আমার জেলাতে আমার বিরুদ্ধে কেউই কথা বলবে না।‘  কথার মধ্যেই একের পর এক থাপ্পড় পড়তে থাকে যুবকের ওপরে। পাশেই দাড়িয়ে জেলাশাসকের স্ত্রী নন্দিনী কৃষন। তিনিও কয়েক ঘা দেন ওই যুবককে। সরি স্যার, সরি স্যার, বলতে থাকেন ওই যুবক। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম বিনোদ কুমার সরকার।

নিখিলের স্ত্রীকে ওই যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘উঠে দাঁড়া। কথাটা বলার সময় মনে ছিল না।‘ গাড়ি থেকে লাঠি নিয়ে আসতে বলেন নিখিল নির্মলের স্ত্রী। পাশ থেকে কেউ বলে ওঠেন, ‘না, না, লাঠি ইউজ করা যাবে না।‘ এর মধ্যেই ফের যুবকের সামনে চলে আসেন জেলাশাসক। তিনি বলে ওঠেন, ‘তোমাকে আধ ঘণ্টার মধ্যে যদি থানায় ঢুকিয়ে দিতে পারি তাহলে তোমার বাড়িতে ঢুকেও মেরে ফেলতে পারি।‘

জেলাশাসকের স্ত্রী ওই যুবককে প্রশ্ন করেন, ‘কে তোমাকে ওই ধরনের মন্তব্য করতে বুদ্ধি দিয়েছে। কেউ তো বলেছে!’ এরমধ্যেই তেড়ে আসেন জেলাশাসকও। বলতে থাকেন, ‘একজন মহিলা সম্পর্কে এসব বলবি তুই!’ মোবাইল দেখিয়ে জেলাশাসকের স্ত্রী ওই যুবককে বলেন, ‘লাইনটা পড়। লাইনটা পড় তুই। কী লিখেছিস পড়।‘ এরমধ্যেই এক পুলিসকর্মী ওই যুবককে সরিয়ে নিয়ে যান। বলতে থাকেন, ‘আপনি আগে কমপ্লেন দিন। তারপর ব্যবস্থা।‘

আরও পড়ুন-আবুধাবিতে চাক দে ইন্ডিয়া! ৫৪ বছর পর এশিয়ান কাপে জয় পেল ভারত

এদিকে, সূত্রের খবর, জেলাশাসক নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ায় ঘটনায় ক্ষুব্ধ নবান্ন। তড়িঘড়ি নিখিল নির্মলকে ১০ দিনের ছুটি পাঠান মুখ্য সচিব। কী ভাবে একজন জেলাশাসক নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে তা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে জেলা পুলিস সুপার বা জেলাশাসকের কোনও মন্তব্যা পাওয়া যায়নি।

.