অনলাইন এডুকেশনের নামে পাবলিকের টাকা লুঠ! হাওড়ায় নগদ উদ্ধার কাণ্ডের তদন্তে ইডি
আদালতে ইডির দাবি, জনসাধারণের টাকা হাতানো হয়েছিল। নগদ ৮ কোটি ছাড়াও শৈলেশের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ৯০ লক্ষ টাকা মিলেছে।
পিয়ালি মিত্র: হাওড়ায় টাকা উদ্ধার কাণ্ডের তদন্তে ইডি। হাওড়ার বাসিন্দা শৈলেশ পান্ডের দুটি ঠিকানা থেকে দু'দফায় ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিস। আজ শৈলেশ পান্ডে ও প্রসেনজিৎ দাসকে তোলা হয়েছে ইডির আদালতে। দু'জনকে ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছে ইডি।
আদালতে ইডির দাবি, জনসাধারণের টাকা হাতানো হয়েছিল। নগদ ৮ কোটি ছাড়াও শৈলেশের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ৯০ লক্ষ টাকা মিলেছে। এছাড়া একটি কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৫ কোটি টাকা জমা করা ছিল। এছাড়া প্রসনজিৎ দাস একটি সাড়ে ৭ কোটি টাকার বিনিয়োগও করেছিল। যেগুলি সবই জনসাধারণের কাছ থেকে হাতানো টাকা বলে দাবি ইডির। অনলাইন এডুকেশন প্রোগ্রামের নামে টাকা হাতানো হত বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, প্রচুর ভুয়ো কোম্পানি ও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে সেইসব টাকা সরানো হয়।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিস। দুজন জামিনে আছে। ওদিকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ার পর আজ দু’জনকে পেশ করা হয়েছে আদালতে। কয়েক মাস আগে শৈলেশ পান্ডের শিবপুরের ফ্ল্যাটে থাকা গাড়িতে প্রথমে উদ্ধার হয় আড়াই কোটি টাকা। পরে হাওড়ার শৈলশের অন্য একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় আরও সাড়ে ৫ কোটি টাকা। প্রথমে পালিয়ে গেলেও ভিন রাজ্য থেকে শেষমেশ কলকাতা পুলিসের হাতে ধরা পড়ে শৈলেশ-প্রসনজিৎরা।
Dilip Ghosh Warns Hiran: 'বিজেপিতে থাকতে গেলে...', তারকা বিধায়ক হিরণকে কড়া বার্তা দিলীপের!