Arpita Mukherjee, ED: বন্ধ দরজার তালা ভেঙে ঢুকল ইডি, অর্পিতার ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাট ঘিরে বাড়ছে রহস্য
Arpita Mukherjee, ED: বেলঘড়িয়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়িতেও যান ইডির তদন্তকারীরা। প্রথমে ধৃতের মায়ের সঙ্গে আধিকারীকদের কথা কাটাকাটি হয়। তিনি ইডিকে ঢুকতে দিতে চাননি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রথতলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাটে ইডি (ED)। তালাবন্ধ ফ্ল্যাট। তালা ভেঙে ফ্ল্যাটের অন্দরে ঢোকেন তদন্তকারী আধিকারীকরা। সূত্রের খবর, ফ্ল্যাটের মধ্যে থেকে ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি ওয়্য়ারড্রোব। বুধবার সকালে রথতলার ওই আবাসনে যায় ইডি (ED)। সঙ্গে যায় সেনাবাহিনী। বিকেলের দিকে আবাসনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সঙ্গে ইডির আধিকারীকদের আরও বেশ কয়েকটি গাড়িও সেখানে যায়।
এছাড়া বেলঘড়িয়ার নবাব আব্দুল লতিফ স্ট্রিটে দেওয়ান পাড়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়িতেও যান ইডির তদন্তকারীরা। তিনটে গাড়ি নিয়ে ওই বাড়িতে যান তাঁরা। প্রথমে ধৃতের মায়ের সঙ্গে আধিকারীকদের কথা কাটাকাটি হয়। তিনি ইডিকে ঢুকতে দিতে চাননি। পরে মহিলাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন আধিকারীকরা। এরপর অফিসারদের ভিতরে ঢুকতে দেন মহিলা।
প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই বিকেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে উদ্বার হয় বিপুল অঙ্কের টাকা, গয়না, মোবাইল এবং বৈদেশিক মুদ্রা। পরের দিন গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। সোমবার কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালত, পার্থ এবং অর্পিতাকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অর্পিতাকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছন ইডির অফিসাররা। রাতে ইডি দফতরের একটি রুমেই অর্পিতাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতে অবশ্য পার্থর কলকাতা ফেরা হয়নি। তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে রাত কাটাতে হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রাজ্যের মন্ত্রীকেও কোনও থানার লকআপে না রেখে, সিজিও কমপ্লেক্সের আট তলায় আলাদা রুমে (অস্থায়ী “লকআপ”) রাখা হয়।
বুধবার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, "আর কোনও কাজ নেই, কেবল দু-চারটে এজেন্সিকে দিয়ে সরকারকে জব্দ করাও। স্তব্ধ করো।" তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার শিল্প চায়, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার চায় না। রাজ্য সরকার চাকরি চায়, কেন্দ্রীয় সরকারকে চায় না। তিনি বলেন, "একটা বড় ইনস্টিটিউট চালাতে গেলে ভুল হতেই পারে। রাইট টু মেক ব্লান্ডার, নেতাজি লিখেছিলেন। ভুল কি কারও হয় না। যদি কেউ ভুল করে তাঁর বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে। যদি কেউ ভুল করে তাঁর শাস্তি হবে। আইনত প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ হবে।"
বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, মহারাষ্ট্রের মতো বাংলায় সরকার ভাঙার ছক কষছে বিজেপি। একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর চ্যালেঞ্জ, ২০২৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না।