মিলছে না ক্রেতা, সূর্যমুখি চাষ করে বিপাকে ভাতারের চাষিরা
বাড়তি লাভের আশায় কৃষিবিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা। তাই ধান বা আলুর মতো প্রথাগত চাষ ছেড়ে সূর্যমুখি বুনেছিলেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের এরুয়ার গ্রামের ক্ষেত এখন সূর্যমুখির ছটায় হলুদ। কিন্তু তাতেও রাতে ঘুম নেই কৃষকদের চোখে। বিকল্প চাষ করে মহা বিপদে পড়েছেন তাঁরা। সফল ভাবে ফসল ফলালেও মিলছে না বাজার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়তি লাভের আশায় কৃষিবিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা। তাই ধান বা আলুর মতো প্রথাগত চাষ ছেড়ে সূর্যমুখি বুনেছিলেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের এরুয়ার গ্রামের ক্ষেত এখন সূর্যমুখির ছটায় হলুদ। কিন্তু তাতেও রাতে ঘুম নেই কৃষকদের চোখে। বিকল্প চাষ করে মহা বিপদে পড়েছেন তাঁরা। সফল ভাবে ফসল ফলালেও মিলছে না বাজার।
চৈত্রের প্রথম সপ্তাহে আলু জমি থেকে উঠতেই বুনতে হয় সূর্যমুখির বীজ। বিঘাপ্রতি রোপনে ১ কিলোগ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। এর পর প্রতি বিঘায় প্রয়োগ করতে হয় ১০ কিলোগ্রাম নাইট্রোজেন ও ডিএপি। গাছে ফুল ফুটতে শুরু করলে শুঁয়োপোকা দমনে ব্যবহার করতে হয় কীটনাশক। এভাবে এক বিঘা জমিতে চাষে খরচ হয় ৩,৫০০ টাকা। নিয়ম মেনে চাষ করলে বিঘাপ্রতি আড়াই কুইন্টাল ফলন মেলে। কিন্তু বাজার না মেলায় আপাতত অথই জলে কৃষকরা।
আমুল, মাদার ডেয়ারির দুধে মেশানো হয়েছে জল, দাবি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
গত কয়েক বছরে শস্যগোলা বর্ধমান জেলার কৃষকরা বিকল্প চাষে ঝুঁকছেন।জেলার ভাতাড়ের এরুয়ার গ্রামের কৃষকরা বিঘের পর বিঘে জমিতে সূর্ষমুখী ফুলের চাষ করেছেন।সরকারী ভাবে বিকল্পচাষে চাষীদের উৎসাহিত করা হলেও সমস্যা উৎপাদিত ফসলের বাজারজাত করা নিয়ে।কারণ চাষীরা সূর্ষমুখীর চাষ করলেও তার বাজার নেই।চাষীরা জানান জমি থেকে আলু তোলার পরই চৈত্রের প্রথম সপ্তাহেই সূর্ষমুখীর বীজ রোপন করা হয়।বিঘে ১ কিলো বীজ লাগে। যার দাম ৬০০ টাকা।
খানিকটা আলু চাষের মতই সূর্ষমুখীর চাষের পদ্ধতি।বীজ বসানোর সময় বিঘেতে ১০ কিলো হারে নাইট্রোজেন ও ডিএপি সার দেওয়া হয় জমিতে।গাছে ফুল ধরলে শুয়োপোকার আক্রমণ হয়।তখন কীটনাশক ছড়াতে হয়।এক বিঘে জমিতে সূর্ষমুখী ফুলের চাষ করতে গড়ে খরচ হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। এক বিঘে জমিতে গড়ে আড়াই কুইণ্টল বীজ ফলে।সুতরাং চাষে লাভ আছে।কিন্তু বাজার নিয়েই সমস্যা।