Durga Puja 2022 : আজ মহাসপ্তমী, নবপত্রিকা স্নানের পর বেলুড় মঠে শুরু পুজো
নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে সপ্তমীর পুজো। বেলুড়মঠেও রীতি মেনে পুজো হয়। গত ২৮ জুলাই মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে এবছর দুর্গাপুজোর নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সূচি মেনেই এদিন সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ মঠে মহাসপ্তমীর পুজো শুরু হয়েছে। এদিন দেবী দুর্গাকে প্রকৃতি রূপে পুজো করা হয়। পূর্ব প্রকাশিত নির্ঘণ্ট মেনে আগামিকালও বেলুড়মঠে মহাষ্টমীর পুজো হবে, প্রথা মেনে হবে কুমারী পুজো।
Durga Puja 2022, Mahasaptami, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ মহাসপ্তমী। ভোর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন ঘাটে চলছে নবপত্রিকা স্নান। নবপত্রিকা স্নানের পর ঘট প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে বেলুড়মঠেও সপ্তমীর পুজো শুরু হয়েছে। রীতি মেনে কলবউ-এর মাথার উপর ছাতা ধরে তাঁকে গঙ্গারঘাটে নিয়ে যান মহারাজরা। নবপত্রিকা স্নানের পর কলাবউকে নতুন কাপড় পরিয়ে নিয়ে আসা হয় পুজো মণ্ডপে। এরপরই পুজো শুরু হয়। কথিত আছে, শ্রীরামকৃষ্ণ দেবীকে মেয়ে রূপেই পুজো করতেন। সেই বিধি মেনেই কলাগাছকে গণেশ বধূ মেনে স্নান করানো হয়। পুজোর সমস্ত আচার পালন করেন মহারাজরা।
করোনার কারণে গত দু'বছর বেলুড়মঠে দুর্গাপুজোর সময় সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তবে এবার পুজোতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ অবাধ করা হয়েছে। তাই ষষ্ঠীর সকাল থেকেই বেলুড়মঠে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা। আজ মহাসপ্তমীতেও সকাল থেকে ভক্তরা ভিড় করতে শুরু করেছেন বেলুড়মঠ চত্ত্বরে। বেলা যত বাড়বে ভিড়ও তত বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গ, গত ২৮ জুলাই মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে এবছর দুর্গাপুজোর নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সূচি মেনেই এদিন সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ মঠে মহাসপ্তমীরপুজো শুরু হয়েছে। এদিন দেবী দুর্গাকে প্রকৃতি রূপে পুজো করা হয়।
প্রসঙ্গত, পুরাণমতে দেবী দুর্গার ৯টি রূপ। দুর্গার ৯টি রূপকে একত্রে পুজো করা হয় নবপত্রিকার মাধ্যমে। নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ হল গাছের ৯টি পাতা। তবে মহাসপ্তমীতে ৯টি গাছকে একসঙ্গে পুজো করা হয়। প্রতিটি গাছেই দেবী কোনও না কোনও রূপে অধিষ্ঠান করছেন। কলাগাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ব্রহ্মাণী। কচু গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী কালিকা। হরিদ্রা বা হলুদ অধিষ্ঠাত্রী দেবী উমা। জয়ন্তী অধিষ্ঠাত্রী দেবী কার্তিকী, বিল্ব অর্থাৎ বেলগাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শিবা, ডালিম গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী রক্তদন্তিকা। অশোক গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শোকরহিতা। মানকচুগাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী চামুণ্ডা এবং ধানগাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মী।