দিল্লির হিংসা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, ABVP-র FIR-এ গ্রেফতার প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী
বর্তমানে শিলচর গুরুচরণ শীল কলেজের অতিথি অধ্যাপক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির হিংসা নিয়ে ফেসবুকে পোস্টের জের। শিলচরে চরম হেনস্থার শিকার অতিথি অধ্যাপক। ক্ষমা চেয়েও মিলল না রেহাই। ABVP-র ছাত্রদের FIR-এ শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনীকে। আজ দুপুরে তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তোলা হবে। প্রেসিডেন্সির পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছিলেন সৌরদীপ সেনগুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। বর্তমানে শিলচর গুরুচরণ কলেজের অতিথি অধ্যাপক।
দিল্লির হিংসাত্মক পরিস্থিতি এবং সরকারের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সৌরদীপ সেনগুপ্ত এরপরই ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ সৌরদীপের পোস্ট শেয়ার তাকে স্যোশাল মিডিয়াতেই তাকে অকথ্য গালিগালাজ করা হয়। অশান্তির আঁচ বুঝতে পেরে পোস্ট ডিলিট করে দেন সৌরদীপ। এমনকী ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। তাতেও লাভ হয়নি। ঘটনায় কলেজে বিক্ষোভ দেখায় ABVP। পরিবারের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক হামলা চালায় তাঁর বাড়িতেও। সৌরদীপের দিদি জানিয়েছেন, এ দিন একদল ছেলে চড়াও হয় সৌরদীপের বাড়িতে, পোস্ট তুলে নিয়ে সৌরদীপকে প্রকাশ্যে ক্ষমার চাওয়ার কথাও বলে তারা।
শিলচরের ঘটনা বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। শিক্ষককে গ্রেফতারের ঘটনায় স্তম্ভিত। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায়ের। শিলচরে অতিথি অধ্যাপককে হেনস্থায় নিন্দার ঝড় উঠেছে স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে। ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় গ্রেফতারি কেন? প্রশ্ন সবমহলে। প্রেসিডেন্সি ছাত্র সংসদের মতে এটি গণতন্ত্রের ওপর হামলা মাত্র। দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক সৌরদীপ সেনগুপ্তকে। দাবি জানিয়েছেন ছাত্র সংগঠনের। বিষয়টিকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন সৌরদীপের বন্ধু।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ABVP-র দাবি আংশিক সময়ের অধ্যাপক হলেও কলেজে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। তিনি নিয়ম ভেঙেছেন। ফেসবুকের বিতর্কিত সেই পোস্ট হিংসা ছড়াচ্ছে বলেই দাবি করেছে ABVP। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, হিংসা রুখতেই সৌরদীপের বিরুদ্ধে FIR করা হয়েছে।