রোজই দামি দামি গাড়ির নাছোড় আবদার পুলিস পাত্রের, লাইভে আত্মহত্যা পাত্রীর
বিয়ে ভেঙে যাবার উপক্রম হয়। বাবাকে মানসিক চাপমুক্ত করতে প্রেমিক বাবু দাসকে লাইভে নিয়ে আত্মহত্যা করে প্রেমিকা নন্দিতা রায়। মেয়ের মৃত্যুর জন্য পাত্রপক্ষকে দায়ী করে তাঁদের শাস্তি দাবি করেছে নন্দিতার বাবা কালিপদ রায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বছর চারেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় গাংগুরিয়া বাসিন্দা নন্দিতা রায় সঙ্গে গঙ্গারামপুরের বেলবাড়ির বাবু দাসের। তারপর ঘনিষ্ঠতা। এরপর দুই পরিবার আলোচনা করে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।
কিন্তু বিয়ে ঠিক হওয়ার পর আসল রূপ বেড়িয়ে আসে কলকাতা পুলিসে কর্মরত প্রেমিক-সহ তাঁর পরিবারের। অভিযোগ বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার পর থেকেই একের পর এক গাড়ি চাইতে শুরু করে পাত্রপক্ষ। আর্থিকভাবে দুর্বল কন্যাপক্ষ সেই গাড়ির চাহিদা মেটাতে পারছিল না।
আর পড়ুন: মধ্যরাতেই ১১৫ জন যাত্রী নিয়ে শিয়ালদার উদ্দেশে রওনা দিল ক্যানিং লোকাল
বিয়ে ভেঙে যাবার উপক্রম হয়। বাবাকে মানসিক চাপমুক্ত করতে প্রেমিক বাবু দাসকে লাইভে নিয়ে আত্মহত্যা করে প্রেমিকা নন্দিতা রায়। মেয়ের মৃত্যুর জন্য পাত্রপক্ষকে দায়ী করে তাঁদের শাস্তি দাবি করেছে নন্দিতার বাবা কালিপদ রায়।
মৃতার বাবা কালিপদ রায় জানান, " বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার পর থেকেই একের পর এক গাড়ি চাইতে শুরু করে পাত্রপক্ষ । প্রথমে একটি বাইক দাবি করে। অনেক কষ্ট করে তাতে সম্মতি দেই। হঠাত দিন দুয়েক আগে একটি বুলেট গাড়ি দাবি করে । সেই গাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা আমার ছিল না। এরপর নানাভাবে মেয়েকে চাপ দেওয়া হত। কিন্তু মেয়ে আমাকে কিছু বলত না। সব সহ্য করে নিত। কিন্তু গাড়ির চাহিদা মেটাতে না পারায় যখন বিয়ে ভেঙে যাবার উপক্রম হয়, তখন আর অপমান সহ্য করতে পারেনি। আমার মেয়ের মৃত্যু জন্য পাত্রপক্ষই দায়ী।"