২৪ ঘণ্টার খবরের জের, সরছে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নোংরা জল
রায়গঞ্জের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে অব্যবস্থা আর অভিযোগের শেষ নেই। এবার নিকাশির দুর্গন্ধময় জলে থই থই মেডিসিন ওয়ার্ড। ২৪ ঘণ্টায় সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। জমা জল সরাতে এখন লেগে পড়েছেন হাসপাতালের সাফাইকর্মীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রায়গঞ্জের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে অব্যবস্থা আর অভিযোগের শেষ নেই। এবার নিকাশির দুর্গন্ধময় জলে থই থই মেডিসিন ওয়ার্ড। ২৪ ঘণ্টায় সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। জমা জল সরাতে এখন লেগে পড়েছেন হাসপাতালের সাফাইকর্মীরা।
হাসপাতাল কর্মীদের অবশ্য অভিযোগ, কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ক্রমাগত দুর্গন্ধময় জল এসেই চলেছে। ফলে নোংরা জল পরিষ্কার করলেও আবার তা জমে যাচ্ছে। কিন্তু কোথা থেকে নিকাশির জল লিক হচ্ছে, তা এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে মেডিসিন (জেনারেল) ও মেডিসিন (আইসোলেশন) ওয়ার্ডের করিডরে সিলিং বেয়ে নোংরা জল জমতে শুরু করে। রাতে ওই নোংরা জল আরও বেশি এলাকায় ভরে যায়। দুর্গন্ধময় নোংরা জলে রীতিমত সমস্যায় পরেন রোগীর আত্মীয়রা। গোটা ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, যথাযথ দেখভালের অভাবেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
হাসপাতাল সুপার চিকিত্সক গৌতম মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি আরও জানান, নির্মাণকারী সংস্থাকে দ্রুত সমস্যা মেরামত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন, বাগুইহাটির ব্যবসায়ী পরিবারে দুষ্কৃতী হামলা, প্রহৃত বাড়ির মহিলারা
উল্লেখ্য, জন্মলগ্ন থেকেই একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। কখনও বৃষ্টিতে দেওয়াল ভেঙে যাওয়া, কখনও ফলস সিলিং খুলে পড়ে রোগীর আহত হওয়া, অথবা ওটির আলো ভেঙে পড়া, কিংবা জরুরি বিভাগে জল দাঁড়িয়ে যাওয়া এমন নানা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছে এই হাসপাতাল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল মেডিসিন ওয়ার্ডে নোংরা জলের নরক যন্ত্রণা।