এবার জলপাইগুড়িতে পণের বলি বধূ
অভিযোগ বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর আরো টাকা আনার দাবিতে লাগাতার চলতো অত্যাচার। সম্প্রতি বাপের বাড়ি থেকে আরো ৫০০০০ টাকা নগদ টাকা নিয়ে আনার চাপে অশান্তি চরমে ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চাহিদা মতো পন না পাওয়ায় গৃহবধূ কে হাত পা বেঁধে গলা টিপে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ালো জলপাইগুড়ি ধাপগঞ্জ এলাকায়।
বছর তিনেক আগে জলপাইগুড়ি বেরুবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথ বারই এর মেয়ে সুষ্মিতা বারই এর সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় জলপাইগুড়ি ধাপগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান প্রনব মন্ডলের সাথে। বিয়েতে ছেলের পরিবারের চাহিদা মত নগদ টাকা, সোনার চেন, বাইক যৌতুক দেন বারই পরিবার। তাদের এক বছর দেড়েকের পুত্র সন্তান রয়েছে।
অভিযোগ বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর আরো টাকা আনার দাবিতে লাগাতার চলতো অত্যাচার। সম্প্রতি বাপের বাড়ি থেকে আরো ৫০০০০ টাকা নগদ টাকা নিয়ে আনার চাপে অশান্তি চরমে ছিল।
গতকাল সন্ধ্যায় জগন্নাথ বারই এর কাছে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে একটি ফোন কল আসে। ফোনে মেয়েকে বাড়ি শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বলা হয়।
কথা শেষ হলে ভুল করে কলটি না কেটে চালু অবস্থায় জামার পকেটে রাখেন জগন্নাথবাবু। কিছুক্ষন পর মোবাইলে শুনতে পান তার মেয়ের মৃতদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেবার পরিকল্পনা চলছে। এরপর তিনি বাইক নিয়ে মেয়ের বাড়ি ছুটে যান।
জগন্নাথ বারই জানান, সেখানে গিয়ে তিনি মেয়েকে দেখতে চাইলে প্রথমে ঐ বাড়ির লোকেদের হাতে বাধাপ্রাপ্ত হন। তিনি জোর করে তার মেয়ের দেহ দেখতে চাইলে তাকে মারধর করা হয়। এরপর মেয়ের দেহ এম্বুলেন্স এ তুলতে গেলে তিনি তা আটকে দেন। দেখেন তার মেয়ের দেহে পা বাঁধা রয়েছে। গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে।
এরপরে খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। কিন্তু ততক্ষণে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা ছোট বাচ্চাকে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মৃত বধূর দাদা পিন্টু বারই জানান দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শান্তি চাই। কেউ যেনো রেহাই না পায়।
আজ দুপুরে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বামী-শ্বশুর-সহ দশ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের পর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আই সি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানান পণের জন্য খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবার কে দেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারন বোঝা যাবে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।