ভোটগ্রহণ মিটতেই বন্ধ হয়েছে মজুরি, সুদিন গিয়েছে ডুয়ার্সের চা-শ্রমিকদের
আগেও বাগান মালিক একই ভাবে শ্রমিকদের বঞ্চিত করেছেন। ভোটগ্রহণ মিটতে ফের সেই কাজ শুরু করেছেন তিনি। তাই বাগানটি অন্য কারও মালিকানায় দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। শ্রমিকদের বক্তব্য, এই মালিক দিয়ে বাগান চলবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটগ্রহণ মিটতেই যেন সুদিন গিয়েছে ডুয়ার্সের চা-শ্রমিকদের। মিলছে না মজুরি, ফলে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শ্রমিকরা।
ফের একবার মালিকপক্ষ ও সরকারের প্রতারণার শিকার ডুয়ার্সের চা-শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের আগে নিয়মিত মিলছিল মজুরি। কিন্তু গত ১৮ এপ্রিল ভোটগ্রহণ মিটতেই মজুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কাজ করলেও মিলছে না মজুরি। শনিবার মালের মেটালি ল্করের কিলকোট চা-বাগানে দেখা যায়, কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শ্রমিকরা। ম্যানেজারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ, 'এক সপ্তাহ ধরে কাজ করলেও বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের মজুরি দিচ্ছে না। ফলে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে শ্রমিকদের অবস্থা।'
শ্রমিকদের অভিযোগ, আগেও বাগান মালিক একই ভাবে শ্রমিকদের বঞ্চিত করেছেন। ভোটগ্রহণ মিটতে ফের সেই কাজ শুরু করেছেন তিনি। তাই বাগানটি অন্য কারও মালিকানায় দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। শ্রমিকদের বক্তব্য, এই মালিক দিয়ে বাগান চলবে না। এই ভাবে বাগান চালালে বাগানের প্রায় ১,৭০০ শ্রমিক অনাহারে মারা যাবেন।
পূর্ব বর্ধমানের পানুহাটে বিজেপি কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ দলেরই আরেক কর্মীর বিরুদ্ধে
মালিক পক্ষের তরফে বকেয়া মেটানোর সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। শনিবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেননি তারা।