তোলাবাজ ভাইপোর ফাঁদে পড়িনি; নতুন দল করলে ওদের সুবিধে হতো, সবংয়ে TMC-কে নিশানা Suvendu-র

সবংয়ে দাঁড়িয়ে মানস ভুঁইয়াকে চ্যালেঞ্জে করে শুভেন্দু বলেন, অন্তরা ভট্টাচার্য, ভারতী ঘোষ(Bharati Ghosh), শুভেন্দু অধিকারীরা এবার সবংয়ে পদ্মফুল ফোটাবে

Updated By: Jan 6, 2021, 07:47 PM IST
তোলাবাজ ভাইপোর ফাঁদে পড়িনি; নতুন দল করলে ওদের সুবিধে হতো, সবংয়ে TMC-কে নিশানা Suvendu-র

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুরে একের পর এক সভা করে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার, সবংয়ের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মানস ভুঁইয়া, রাজ্য সরকার থেকে তার একাধিক প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি নেতা। এমনকি আজ মানস ভুঁইয়াকে 'রাবণ' বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি।

দলবদল নিয়ে একাধিক অপ্রিয় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে শুভন্দুকে(Suvendu Adhikari)। সবংয়ের সভায় এদিন শুভেন্দু বলেন, অতীত যে ভুলে যায় তার ভবিষ্যত ভালো হতে পারে না। তৃণমূল(TMC) অতীত ভুলে গিয়েছে। তাই ওই 'কোম্পানি' থেকে বেরিয়ে এসেছি। তৃণমূলের ফুটো নৌকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। তাই ওই ফুটো নৌকা থেকে বেরিয়ে এসেছি।

আরও পড়ুন-সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়ার আগে জেলায় জেলায় Vaccine-র ড্রাই রান

শুভেন্দুর দল ছাড়ার পরই তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। তাঁর চ্যালেঞ্জ ছিল, 'বাপের ব্যাটা হলে নতুন দল করে দেখাক। যে মাকে ভুলে যায় তার পাশে আপনারা থাকবেন?' এনিয়ে আজ শুভেন্দু বলেন, তোলাবাজ ভাইপো বলেছিল, এক বাপের ব্যাটা হলে আলাদা আঞ্চলিক দল করল না কেন? আঞ্চলিক দল করে আমি যদি কিছু ভোট কাটতাম তাহলে ওদের সুবিধে হতো। ভাইপোর ওই ফাঁদে পা দিইনি। আমি আঞ্চলিক দল করিনি। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় দল বিজেপিতে(BJP) যোগদান করেছি। 

মানস ভুঁইয়াকে(Manash Bhunia) নিশানা করে বিজেপি নেতা বলেন, শুভেন্দু অধিকারী না থাকলে সবংয়ের রাবণ-এর সহধর্মীনির উপনির্বাচনে জেতা হতো না। অমল পান্ডা ও নিজের ভাই বিকাশ ভুইঁয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের স্ত্রীকে সবংয়ে প্রার্থী করেছিলেন সবংয়ের রাবণ।

আরও পড়ুন-আমফানের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছে রাজ্য, সরাসরি তোপ ধনখড়ের

সবংয়ে দাঁড়িয়ে মানস ভুঁইয়াকে চ্যালেঞ্জে করে শুভেন্দু বলেন, অন্তরা ভট্টাচার্য, ভারতী ঘোষ(Bharati Ghosh), শুভেন্দু অধিকারীরা এবার সবংয়ে পদ্মফুল ফোটাবে। এলাকার মণ্ডল সভাপতিদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনাদের কেউ মারধর করলে যোগাযোগ করবেন। লক্ষ্ণণ শেঠ, কিষানজিদের সঙ্গে লড়েছি। এখন সঙ্গে রয়েছেন ভারতী ঘোষ। আমরা জানি কোন অসুখের কী ওষুধ দিতে হয়। নির্বাচন বিধি চালু হতে দিন। CRPF দিয়ে ভোট হবে। এবার নিজের ভোট নিজেই দিতে পারবেন।

.