মূক ও বধির নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে লাগাতার 'গণধর্ষণ' নোদাখালিতে!
স্কুলের সামনে থেকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় শেখ হাফিজুল ও তার সঙ্গী।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মূক ও বধির নবম শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার 'গণধর্ষণের' অভিযোগ উঠল এলাকারই এক যুবক ও তার সঙ্গীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্কুলের সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত দুই যুবক। তারপর দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালিতে।
অভিযোগ, নোদাখালি থানার সোনারপুরের বাসিন্দা ওই মূক ও বধির কিশোরীকে গত ৩০ জন স্কুলের সামনে থেকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় শেখ হাফিজুল ও তার সঙ্গী। তারপর থেকে চলে অত্যাচারের পালা। দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয় ওই কিশোরীকে। এরপর মে মাসে একদিন কিশোরীকে ওষুধ খেতে দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের। তখন বাড়ির লোককে ইশারার মাধ্যমে ও লিখে সব কথা জানায় নির্যাতিতা ছাত্রী।
নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার কথা জানার পরই তাঁরা জেলা পরিষদের সদস্য বাপি শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুরো বিষয়টি তাঁকে জানান। বাপি শেখ উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টির 'মীমাংসা' করে ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে বলেন অভিযুক্তকে। কিন্তু বিয়েতে বেঁকে বসে অভিযুক্ত শেখ হাফিজুলের পরিবার।
আরও পড়ুন, গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া! যৌনাঙ্গ কাটা অবস্থায় পলাশের জঙ্গলে মিলল প্রেমিকের দেহ
এরপরই এই ঘটনায় ১১ জুন নোদাখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার। অভিযোগ, তারপর থেকে শুরু হয় হুমকি দেওয়া। কেস তুলে নেওয়ার জন্য কিশোরীর পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে অভিযুক্তের পরিবার। এমনকি মারধরও করা হয়। ঘটনার কথা তৃণমূলের স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্যকে জানানো হলেও, তিনি অসহযোগিতা করে বলে অভিযোগ।
শেষে ৩ জুলাই ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার এসপি-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। তবে অভিযুক্তরা এখনও অধরা। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নির্যাতিতার পরিবার।