Alipurduar: নদীতে মুখ থুবড়ে পড়ল জিও সিন্থেটিক প্রযুক্তি! ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শনে সেচমন্ত্রী...
Alipurduar: নতুন টেকনোলজি দিয়ে আলিপুরদুয়ারে শিশামারা নদীর উপর বাঁধ তৈরি হয়। আশায় বুক বেঁধেছিলেন আশপাশের চার পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা। ভেবেছিলেন এবার বুঝি দুঃখের দিন শেষ হল। সত্যিই কি শেষ হল?
তপন দেব: খরস্রোতা নদীগুলিতে নতুন প্রযুক্তিকৌশল ব্যবহার করে বাঁধ দেওয়া হবে, যা আগের চেয়ে ঢের টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি হবে বলে মনে করা গিয়েছিল। বাস্তবে কিন্তু তেমনটা হল না। ঢক্কানিনাদে উচ্চকিত এই প্রযুক্তির পোশাকি নাম 'জিও সিন্থেটিক টেকনোলজি'।
আরও পড়ুন: North Bengal Flood: উত্তরবঙ্গের বন্যা-পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি ভুটানকেই দায়ী করল বাংলা...
২০১৬ সালে রাজ্যের তৎকালীন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে নতুন এই টেকনোলজির মাধ্যমে খরস্রোতা নদীগুলিতে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। নতুন এই টেকনোলজি দিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার ১ নম্বর ব্লকে শিশামারা নদীর উপর সিরুবাড়ি বাঁধ তৈরি হয়। বছরখানেক লাগে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে।
কী এই প্রযুক্তি? এই প্রযুক্তিতে অগ্রাধিকার পাটের। নিয়মিত জলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে এমন অংশে প্রতিরোধমূলক কোনও নির্মাণ গড়ে তুলতে গেলে মাটির সঙ্গে পাট ব্যবহার করে কাজটা করা হয়। পয়ঃপ্রণালী, রাস্তা, বাঁধ, নালা ইত্যাদির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তিতে নির্মাণ কার্যকরী হয়। বায়ো-ডিগ্রেডেবল উপাদান থাকে বলে পরিবেশের ক্ষতিও হয় না এই নির্মাণে।
নতুন এই প্রযুক্তিতে কাজ হতে দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন আশপাশের চার পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা ভেবেছিলেন, এবার বুঝি দুঃখের দিন শেষ হল। কিন্তু সত্যিই কি শেষ হল? পাঁচ বছরেই ছবিটা স্পষ্ট হল। মুখ থুবড়ে পড়ে নতুন প্রযুক্তিতে নির্মিত বাঁধ, ব্যর্থ হল জিয়ো সিন্থেটিক প্রজেক্ট ৷ গত বর্ষাতেই এই বাঁধ নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এ বছরে অবস্থা সঙ্গিন। বাঁধের বস্তা ছিঁড়ে তলিয়ে গিয়েছে নদীতে। শেষমেশ জানা গিয়েছে, খরস্রোতা নদীগুলির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি তত কার্যকরী নয়।
সেই ভেঙে-পড়া বাঁধ আজ, মঙ্গলবার পরিদর্শন করলেন রাজ্যের বর্তমান সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। বর্ষায় উত্তরবঙ্গের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন তিনি। সেই সফরেরই অংশ হিসেবে সিরুবাড়ি বাঁধ দেখতেও গিয়েছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। বাঁধ পরিদর্শন করে তিনি বলেন, নতুন টেকনোলজি কিছু বছর টিকল, আবার নতুন টেকনোলজি আসবে। সেই প্রযুক্তিতে নতুন করে বাঁধ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: 'গ্রিন হাউস' গ্যাস কী ভাবে 'গ্রিন চিলি'র উপর থাবা বসিয়ে লঙ্কাকাণ্ড বাধাচ্ছে জানেন?
কিন্তু গ্রামবাসীরা কী বলছেন? গ্রামবাসীরা বলছেন, বোল্ডার ফেলে তাতে জাল দিয়ে পুরনো পদ্ধতিতে নির্মাণ করলেই রক্ষা পাবে বাঁধ। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়!