Kali Puja 2024 | Dakat Kali: সেদিন নির্জন মাঠে মা সারদার মুখের দিকে চেয়ে ভয়ে-বিস্ময়ে-শ্রদ্ধায় হতবাক ডাকাতদল...

Dakat Kali of Singur: কালীপুজোর দিন চার প্রহরে চার বার পুজো ও ছাগ বলি হয়। মল্লিকপুর গ্রামে এই ডাকাতকালী মন্দির থাকার কারণে আশেপাশের জামিনবেড়িয়া, পুরুষোত্তমপুর ও মল্লিকপুর গ্রামের কোনো বাড়িতে কালীপুজো হয় না।

Updated By: Oct 30, 2024, 04:52 PM IST
Kali Puja 2024 | Dakat Kali: সেদিন নির্জন মাঠে মা সারদার মুখের দিকে চেয়ে ভয়ে-বিস্ময়ে-শ্রদ্ধায় হতবাক ডাকাতদল...

নির্মল পাত্র: প্রায় ৫০০ থেকে ৫৫০ বছর আগে সিঙ্গুরের ডাকাতকালী মন্দির ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস। বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোডের পাশে পুরুষোত্তমপুর এলাকায় এই ডাকাতকালী মন্দির। হাওড়া-তারকেশ্বর শাখার সিঙ্গুর রেলস্টেশনে নেমে হেঁটে অথবা টোটোয় চেপে মন্দিরে আসা যায়। এখানে হয় নিত্যপুজোও।

আরও পড়ুন: Kali Puja 2024 | Jagatnagar Anandamoyee Kali: ভয়ংকরা! ন'বছরের কন্যার আধ-পোড়া দেহ চিতা থেকে বের করেন তান্ত্রিক, তারপর...

কথিত আছে, অসুস্থ ঠাকুর রামকৃষ্ণকে দেখতে মা সারদা কামারপুকুর থেকে দক্ষিণেশ্বর যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে রঘু ডাকাত ও গগন ডাকাত মায়ের পথ আটকে দাঁড়ায়। কিন্তু ডাকাতরা সেই সময়ে রক্তচক্ষু মা কালীর মুখ দেখতে পায়। ভুল বুঝতে পেরে মা সারদার কাছে ক্ষমা চায় তারা। সন্ধ্যা নামায় সেই রাতে ডাকাতদের আস্তানায় মা সারদাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। মা সারদাকে রাতে খেতে দেওয়া হয় চালকড়াই ভাজা। সেই রেওয়াজ মেনেই আজও কালীপুজোর দিনে মায়ের প্রসাদ হিসাবে এখানে চালকড়াই ভাজা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও কালীপুজোর দিন লুচি ভোগ, ফল দেওয়া হয় নৈবেদ্যে।

মন্দিরের পুরোহিত সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কালীপুজোর দিন চার প্রহরে চার বার পুজো ও ছাগ বলি হয়। মল্লিকপুর গ্রামে এই ডাকাতকালী মন্দির থাকার কারণে আশেপাশের জামিনবেড়িয়া, পুরুষোত্তমপুর ও মল্লিকপুর গ্রামের কোনো বাড়িতে কালীপুজো হয় না। এমনকি কারো বাড়ির দেওয়ালে টাঙানো থাকে না ক্যালেন্ডারে আঁকা কালীমূর্তির ছবিও। বছরে একবার কালীপুজোর দিন গ্রামের 'শূদ্রদের' আনা গঙ্গাজলে ঘটের জল পাল্টানো হয়। ঘটের জল পাল্টানোর সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। সেইসময় মহিলাদের মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষেধ থাকে।

আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: আর কতদিন বৃষ্টির অত্যাচার সহ্য করতে হবে? শীত পড়তে এবার দেরি আছে?

মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক মদনমোহন কোলে বলেন, আগে ডাকাতরা মাটির কুঁড়েঘর বানিয়ে মা কালীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করে। পরে বর্ধমানের রাজা একটি মন্দির তৈরির জন্য জমি দান করেন। পরবর্তীতে স্বপ্নাদেশ পেয়ে সিঙ্গুর থানার চালকেবাটি গ্রামের মোড়লরা এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। কালী পুজোর দিন মোড়লদের পুজোর পর অন্য ভক্তদের পুজো শুরু হয়।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.