তিস্তাপারের বৃত্তান্ত: প্রতিশ্রুতির বন্যা রুখতে পারেনি নদীর বন্যা, ভোটমরসুমে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা
বাম তৃণমূল কেউ কথা রাখেনি। তৈরি হয়নি বাঁধ। ক্ষুব্ধ গাজোলডোবার কৃষকেরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটমরসুমে সব রাজনৈতিক দলের নেতামন্ত্রীরাই আসেন, ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট মিটে গেলেই আর তাঁদের কারও দেখা পাওয়া যায় না। এদিকে বাঁধ না হওয়ায় বছর বছর ফসল নষ্ট হয়। এমনকি কৃষিজমি একটু-একটু করে চলেও যায় নদীগর্ভে। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত মালবাজার মহকুমার গাজোলডোবার কৃষকেরা।
গত ২০ বছর ধরে গাজোলডোবা এলাকার কৃষকদের একটিই দাবি, বাঁধ (dam) তৈরি হোক তিস্তা নদীতে। যাতে বর্ষার হাত থেকে বাঁচতে পারে তাঁদের বহু পরিশ্রমের কৃষিফসল। ভোটের সময়ে তাঁদের এই দাবি শুনে সব পক্ষই চিরকাল আশ্বাস দিয়ে এসেছে। অথচ ভোট চলে গেলে কেউ কথা রাখেনি।
গাজোলডোবার (gajoldoba) তিস্তার (tista) চরে খুব ভাল চাষ হয়। সব ধরনের ফসলই ভাল ফলে। সেই ফসল চলে যায় জলপাইগুড়ি (jalpaiguri), শিলিগুড়ি (siliguri)এবং পাহাড়ের বিভিন্ন বাজার এলাকায়। এই চাষেই এখানকার কৃষকদের সংসার চলে। কিন্তু বর্ষা এলেই প্রতিবার তিস্তার জল ঢুকে পড়ে তাঁদের সাধের চাষজমিতে। তখন বিঘার পর বিঘা সব্জি-সহ বিভিন্ন ফসল চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, এই বাঁধ তৈরি নিয়ে প্রায় ২০ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন কৃষকেরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বিষয়টি। কিছুদিন আগে বাঁধের দাবিতে গাজোলডোবায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান কৃষকেরা।
Also Read: বহিষ্কার প্রত্যাহারের নির্দেশ Dilip-এর, দলে ফিরলেন কালোসোনা মন্ডল
এলাকার কৃষক দুলাল বিশ্বাস, মোহন চৌধুরীদের বক্তব্য-- 'প্রতি বর্ষায় অল্প অল্প করে কৃষিজমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। কৃষিজমি বাঁচাবার জন্য তিস্তায় একটি স্থায়ী বাঁধ দেওয়া হোক। এর আগে সেচমন্ত্রী থাকাকালীন মানস ভুঁইয়াকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি।'
এলাকার বিজেপি নেতা মানু বিশ্বাস বলেন, আগে সিপিএমের আমলে এবং এখন তৃণমূল আমলেও তৈরি হয়নি এই বাঁধ। বাঁধ না হওয়ায় কয়েক বছরে তিস্তার গর্ভে চলে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি, অনেকটা কৃষিজমিও। অথচ এতদিন ধরে আশ্বাস ছাড়া কিছুই জোটেনি কৃষকদের কপালে।
মালবাজারের তৃণমূল বিধায়ক বুলু চিক বড়াইক বলেন, 'এটা অনেক বড় বাঁধ। খরচও অনেক। ব্যাপারটা মন্ত্রীরা জানেন। আশা করা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই এই বাঁধ তৈরি হবে।'
আদৌ কি বাঁধ হবে? নাকি বিধানসভা ভোটের আগে আবারও প্রতিশ্রুতির বন্যা বইবে? সেটাই এখন দেখার।
Also Read: 'Mamata এখন অতীত, আঁচল পেতে উন্নয়ন চাইব শাহের কাছে', BJPতে যোগদানের আগে Rajib