Anubrata Mandal: শরীরে যন্ত্রণা; জামিন দিন স্যার, ভার্চুয়াল শুনানিতে ভেঙে পড়লেন অনুব্রত
Anubrata Mandal:তিহাড় জেলে অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। আসানসোল আদালতে আজ ওই আবেদন করেন সিবিআইয়ের অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন এর আগে একবার সেখানে তাদের জেরা করা হলেও মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা সম্ভব হয়নি
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: গোরু পাচারকাণ্ডে জড়িয়ে দিল্লির তিহাড় জেলে ঠাঁই হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। একই জেলে রয়েছেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। অনেক কাটখড় পুড়িয়ে বীরভূমের প্রাক্তন জেলাসভাপতিকে জেলে পুরেছে ইডি। এদিকে, বুধবার সিবিআইয়ের মামলায় ভার্চুয়াল শুনানিতে জামিনের কাতর আবেদন করেন অনুব্রত।
আরও পড়ুন- আড়াই লাখ টাকা কেজি, গাছ ঝুলছে কোটি কোটি টাকার আম, ঘুম ছুটেছে বীরভূমের বাসিন্দার
বুধবার আসানলোল আদালত থেকে ভার্চুয়ালি শুনানি হয় অনুব্রতর। তিহাড় জেলে অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। আসানসোল আদালতে আজ ওই আবেদন করেন সিবিআইয়ের অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন এর আগে একবার সেখানে তাদের জেরা করা হলেও মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা সম্ভব হয়নি । তাদেরকে জেরা করে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার নথি বিচারকের সামনে তুলে ধরেন সুশান্ত ভট্টাচার্য। তখনই বিচারক সেই নথি পড়তে গিয়ে সিবিআই কে জিজ্ঞাসা করেন, ওই দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে কিনা। প্রত্যুত্তরে সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান, চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
ভার্চুয়াল শুনানিতে সিবিআই আদালতের বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতকে জিজ্ঞাসা করেন, অনুব্রতবাবু কিছু বলার আছে?
অনুব্রত: শরীর ভালো যাচ্ছে না ।
বিচারক: চিকিৎসা করার,জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ?
অনুব্রত: নিয়ে যাচ্ছে ।
বিচারক: ওখানে তো ভালো চিকিৎসা হয় ।
অনুব্রত: জামিনের ব্যবস্থা করুন স্যার ।
বিচারক: মহামান্য হাইকোর্ট আপনার জামিনের আবেদন খারিজ করেছে । আগে ওখানে জামিন পান। তারপর এখানে দুপক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা জেল কর্তৃপক্ষকে আপনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেছি ইতিমধ্যেই ।
অনুব্রত: শরীরে যন্ত্রণা,ব্যালান্স পাচ্ছি না ।
বিচারক: বুঝতে পারছি। আগেও বলেছি আবারও বলে দেব আপনার চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে।
অনুব্রতের সঙ্গে কথা শেষ করে সায়গলের সঙ্গে কথা বলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। সায়গলকে তার গহনা ফেরত পাওয়া গয়নার কথা জানান।
সায়গলের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত সোনা রূপোর গয়নার কিঞ্চিত মাত্র ফেরত দিতে সম্মত হল সিবিআই । আজ আসানসোল সিবিআই আদালতে গোরু পাচার কান্ডে সিবিআই এর তদন্তকারি অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য বাজেয়াপ্ত করা গয়নার তালিকা পেশ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর সামনে । সেখানে গোরু পাচার কান্ডের তদন্ত শুরু হবার আগের তিনটি গয়নার উল্লেখ করে ওই তিনটি ফেরত দিতে সম্মতি জানায় সিবিআই । এর মধ্যে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের সোনার গয়না ও ১৭,০০০ টাকা মূল্যের রূপোর গয়না রয়েছে । ওই তালিকা থেকেই সিবিআই জানায় সায়গলের কাছ থেকে ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । ফেরত দিতে চাওয়া গয়না বাদে বাকি গয়নার হয় রশিদ পাওয়া যায় নি নয়তো যে রশিদ পাওয়া গিয়েছে সেগুলোর অধিকাংশই ভূয়ো বলে দাবি করেছে সি বি আই । যার ফলে ঐ গয়না ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় ।
ওই কথা শুনে সায়গলের আইনজীবী শেখর কুন্ডু বলেন, সায়গলের স্ত্রীও চাকরি করেন । ২০১৪-র টেট পরীক্ষা দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন তিনি।
বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন কেউ চাকরি করে ৬ বছরে 36 লক্ষ টাকার গয়না করতে পারেন?