লকডাউনের আগে লুকিয়ে দেওরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বৌদি, আর ফিরতে পারেননি! মর্মান্তিক পরিণতি
অথচ লকডাউনে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই যে অকারণ ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন তাঁরা নিজেরাও, সেকথা খেয়াল নেই কারোরই!
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউন শুরু হওয়ার আগে স্বামী, শ্বশুরবাড়িতে লুকিয়ে প্রেমিকের বাড়ি গিয়েছিলেন।। লকডাউনে আর ফিরতে পারেননি। মাসতুতো দেওরের সঙ্গে সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়ে যায় সকলের কাছে। আর তাতেই চরম সিদ্ধান্ত। প্রেমিককে সঙ্গে নিয়েই ঘরের ভিতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক গৃহবধূ। আর এই দৃশ্য দেখার জন্য 'হটস্পট জোন' পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার এরেন্দা গ্রামে। অত্যুত্সাহী গ্রামবাসীদের কারোও মুখে মাস্ক আছে, তো কারোও মুখে নেই। তবে সকলের মধ্যে একটি বিষয় 'কমন'। ফিসফিস, গুঞ্জন। 'প্রেম করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়, নিজের কপাল নিজেই পুড়িয়েছে!" অথচ লকডাউনে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই যে অকারণ ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন তাঁরা নিজেরাও, সেকথা খেয়াল নেই কারোরই!
ঘটনাটি এগরার এরেন্দা গ্রামে। রবিবার সকালে গ্রামে চাউর হয়ে যায়, এলাকার যুবক গোবিন্দ বেরা নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। সঙ্গে রয়েছেন আরও এক মহিলা। খবর রটতেই ভিড় জমে যায় গ্রামে। হাজার খানেক লোক গোবিন্দের বাড়ির চারপাশে ভিড় জমান। অবিবাহিত গোবিন্দের সঙ্গে এক মহিলা কে? স্থানীয়রাই খোঁজখবর করে জানতে পারেন, মহিলার নাম লক্ষ্মী সেনাপতি(২৮), তাঁর বাড়ি কাঁথির মাজনা কাপাসদা গ্রামে। লক্ষ্মীর স্বামীর নাম বাসুদেব সেনাপতি।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্টিকার লাগানো ট্রাকে, লকডাউনের বাজারে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে পুলিসের
জানা যায়, লক্ষ্মীর সঙ্গে গোবিন্দের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মাঝেমধ্যেই দেখা করতেন তাঁরা। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে বাড়িতে বেরাতে যাচ্ছি বলে লক্ষ্মী লুকিয়ে গোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে যান। একদিনের ঘোষণায় লকডাউন শুরু হওয়ায় আর বাড়ি ফিরতে পারেননি।
বাড়ির লোক জেনে যায় গোটা বিষয়টি। এরপরই শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। এর থেকেই তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিস। এদিন দেহ দুটি উদ্ধার করতে এসে আরও বেকায়দায় পড়ে পুলিস। লকডাউনে ভিড় সরাতেই হিমশিম খান পুলিসকর্মীরা।
প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হলেও, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।