Bayron Biswas: সাগরদিঘির জয়ে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না, অধীরকে চমকে দিয়ে কী বললেন বাইরন?
Bayron Biswas: সাগরদিঘির উপনির্বাচন নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। কেন্দ্রটি তৃণমূলের জেতা আসন ছিল। সেখানে জিতেছিলেন সুব্রত সাহা। তাঁর মৃত্যুর পরই আসনটি খালি হয়ে য়ায়। ওই আসনে বাইরন বিশ্বাস জেতার পর বিরোধীরা বলতে শুরু করে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে
প্রবীর চক্রবর্তী: ধাক্কা খেল সাগরদিঘি মডেল। উপনির্বাচনে জেতার ৩ মাসের মধ্যেই কংগ্রেসে ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন সেখানকার কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। একসময় অধীর চৌধুরী তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন তিনি বাইরন নয় আয়রন। কংগ্রেস ছেড়ে সেই বাইরনের মন্তব্য শুনলে চমকে যাবেন অধীরও চৌধুরীও। বাইরনের দাবি, সাগরদিঘি জয়ে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না।
আরও পড়ুন- 'তৃণমূলের টিকিটের চেষ্টা করেও পাইনি', দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন
সোমবার ঘাটালে অভিষেকের হাত থেকে ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নেন বাইরন। সিপিএম একে বিশ্বাসঘাতকতা বলে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, ক্ষমতা থাকলে ইস্তফা দিয়ে সাগরদিঘি থেকে জিতে দেখান বাইরন। অন্যদিকে, দল ছেড়ে অভিষেকের পাশে বসে বাইরন যা বললেন তা চমকে দেওয়া মতো।
বাইরন বলেন,সাগরদিঘিতে যে জয়ী হয়েছি তার পেছনে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না। বরবারই আমরা তৃণমূল করে আসছি। তৃণমূলের কাছ থেকে টিকিট পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত টিকিট পাইনি বলেই কংগ্রেসের কাছ থেকে টিকিট নিতে হয়েছিল। এই জয়ে কংগ্রেসের যদি অবদান থাকত তাহলে ২০২১ সালে একটা সিটেও কেন কংগ্রেস জিততে পারেনি। আমি বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকলে আগামী দিনে মানুষ এক জবাব দেবে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও বিপুল ভোটে জয়ী হতে পারব বলে বিশ্বাস করি। আরও ভালো ভাবে কাজ করতে পারব। কংগ্রেসে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। এটা বাস্তব। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। আর কোনও বিকল্প নেই। অধীরবাবু বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলছেন না। উনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেন না। এনিয়ে যতটা পেরেছি ওঁর সঙ্গে কথা বলেছি। সাগরদিঘির মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।
এদিকে, বাইরনের দলত্য়াগ নিয়ে রাজ্য কংগ্রেস প্রধান অধীর চৌধুরী বলেন, বাইরনের তৃণমূলে যোগদানে কংগ্রেসের উপরে প্রভাব পড়বে না। আরও জিদ বাড়ল কংগ্রেসের। বাংলার মানুষের কাছে তৃণমূল আরও নগ্ন হল। যা কিছু ত্রুটি ভুল তা শুধরে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। আগামী দিনে আরও ভালো মানুষকে সাগরদিঘিতে টিকিট দেব। ওকে টিকিটে দেওয়া নিয়ে দলের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। এনিয়ে তাঁরা সম্মতি দিয়েছিলেন। জানতাম ও নন পলিটিক্যাল। কংগ্রেসের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে তিনি কোনও দিনই জড়িত ছিলেন না। তার সম্পর্কে আমরা ধারণা ভালোই ছিল। একটি জিনিস বুঝেছিলাম ছেলেটি একটি দুর্বল প্রকৃতির। শারীরিকভাবে কিছুটা অক্ষম। সুগারের পেশেন্ট। মিটিং মিছিল করতে পারছে না। ভোটের প্রচার ঠিকঠাক করতে পারছে না। আমি সেগুলো ম্যানেজ করেছিলাম। তবে একটা জিনিস প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। দিদিভাইকে বলতে চাই, দিদিভাই আমরা এটা প্রমাণ করে দিয়েছি তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো যায়।
এনিয়ে সিপিএম নেতা ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা করলেন বাইরন। এর ধাক্কা ওকে ও তৃণমূলকে নিতে হবে। দলবদলের যে পরম্পরা উত্তরভারতে বিজেপি চালু করেছে তা এখানে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই জয় ছিল তৃণমূলের দুরাচারের বিরুদ্ধে মানুষের জয়। বাইরনকে পদত্যাগ করে ফের ভোটে লড়াই করতে হবে।
সাগরদিঘির উপনির্বাচন নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। কেন্দ্রটি তৃণমূলের জেতা আসন ছিল। সেখানে জিতেছিলেন সুব্রত সাহা। তাঁর মৃত্যুর পরই আসনটি খালি হয়ে য়ায়। ওই আসনে বাইরন বিশ্বাস জেতার পর বিরোধীরা বলতে শুরু করে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে।
সাগরদিঘির উপনির্বাচন নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। কেন্দ্রটি তৃণমূলের জেতা আসন ছিল। সেখানে জিতেছিলেন সুব্রত সাহা। তাঁর মৃত্যুর পরই আসনটি খালি হয়ে য়ায়। ওই আসনে বাইরন বিশ্বাস জেতার পর বিরোধীরা বলতে শুরু করে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে।