J P Nadda in Bengal: ক্ষমতায় আনুন; চোর ধরব আবার জেলেও ঢোকাব, পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন নাড্ডা
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা নিয়েও সরব হন নাড্ডা। তিনি বলেন, আদালত যখন বলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক নয় তখন সেই বিচারপতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কর্মীরা। বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল: রাজ্যে এসে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বাংলায় দুর্নীতি প্রবল বাড়বাড়ন্ত, কয়লা, বালি, আবাস যোজনার টাকা এই সরকার খেয়ে ফেলেছে। এর থেকে বাঁচার একটাই রাস্তা হল পদ্মফুলে ভোট দেওয়া। বেথুয়াডহরির সভায় এভাবেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন জে পি নাড্ডা।
আরও পড়ুন- হার্দিকের আউট নিয়ে তোলপাড় ক্রিকেট দুনিয়া, গর্জে উঠলেন স্ত্রী নাতাশা
বেথুয়াডহরিতে বিজেপির সভায় নাড্ডা বলেন, একসময় আপনারা বলতেন, এটা জাপানের গাড়ি, এটা জাপানের ক্যামেরা। এখন ভারত সেই জাপানকে পেছনে ফেলে গাড়ি উত্পাদনে ৩ নম্বরে চলে এসেছে। এটাই পরিবর্তন। আমরা গরিব মানুষকে বাড়ি দিয়েছি, শৌচালয় দিয়েছি, গ্যাস দিয়েছি। কংগ্রসে আমলে দেখেছি গোটা একটা পঞ্চায়েতে ১টা আবাস যোজনার ঘর পাওয়া যেত। এখন মোদীজির আমলে ৩ কোটি ৬০ লাখ পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারকে বিঁধে নাড্ডা বলেন, খুব খারাপ লাগছে বলতে যে এরা শৌচালয়ের পয়সা, রাস্তার পয়সা, একশো দিনের কাজের পয়সাও খেয়ে ফেলেছে। আপনি একী অবস্থা করে রেখেছেন দিদি! সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, এরা গোরু, আলু, কয়লা, পাথর, বালি খেয়ে ফেলেছে। কিছু ছাড়েনি। টাকা পাঠিয়েছেন মোদীজি, আর আপনারা এখানে ঘোটালা করছেন! যখন এনিয়ে যখন প্রশ্ন ওঠে তখন আপনারা বলবেন কেন্দ্র সরকার আমাদের শত্রু। শুভেন্দু বলছিলেন চোর ধর, জেল ভর। পদ্ম ফুলে ভোট দিন, চোর ধরব, আবার জেলেও ভরব।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, কেন্দ্র টাকা পাঠায়, আর সেই টাকায় এখানে দুর্নীতি হয়। বলুন তো তোলবাজি হয় কি হয় না? প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়েছে নাকি হয়নি? যখন এনিয়ে এনকোয়ারি হয় তখন দিদি বিচলিত হয়ে পড়েন। আরে, মোদী সরকার ইমানদার সরকার। আপনাদের সরকার বেইমান সরকার। মোদীজি লালকেল্লা থেকে বলেই দিয়েছেন, দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। দুর্নীতিবাজদের জেলে ঢুকিয়েই ছাড়ব।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা নিয়েও সরব হন নাড্ডা। তিনি বলেন, আদালত যখন বলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক নয় তখন সেই বিচারপতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কর্মীরা। বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়। আপনারা বলুন, দেশের সবচেয়ে বেশি মানবপাচার এখান থেকে হয় কি হয় না? সবে থেকে বেশি দুর্নীতি এখানে হয় কি হয় না? আইন শৃঙ্খলার কী অবস্থা! এই গুন্ডামির রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। আমাদের কথা শুনে দিদি রেগে যান, ওঁর চিন্তা বেড়ে যায়। কিন্তু চাইব দিদি, রেগে যাবেন না। আপনার সুবুদ্ধি হোক। রাগ স্বাস্থ্য়র জন্য ভালো নয়। মানুষ জানে কাকে কীভাবে শিক্ষা দিতে হয়।