দেহ প্যাকিং করেই দায় সেরেছে পুরসভা, ১৮ ঘণ্টা ঘরেই পড়ে করোনা রোগীর মৃতদেহ
মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই সুকুমারবাবুর দেহ ঘরে নিয়ে চলে আসেন পরিবারের লোকজন
নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল রাত সাড়ে দশটার পর করোনায় মৃত্যু হয়েছে বেলঘড়িয়ার নীলগঞ্জ রোডের এক আবাসনের আবাসিকের। এখনও তাঁর দেহ সত্কার হল না। দেহ আগলে প্রায় ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় বসে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন-অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতি! মন্ত্রিসভায় ঠাঁই অখিল গিরির
বেলঘড়িয়ার নীলগঞ্জ রোডের ওই আবাসনে থাকতেন সুকুমার ভট্ট(৮৬)। কয়েক দিন আগেই তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ(Covid Positive) আসে। তার পর থেকে ঘরেই ছিলেন তিনি। রবিবার রাত দশটার পর তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে। বাড়ির লোকজন সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যান জেনিথ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন-শিক্ষায় ফিরলেন ব্রাত্য, শিল্পে Partha, পরিবহণে ফিরহাদ, রথীনের হাতে জ্যোতিপ্রিয়র খাদ্য
মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই সুকুমারবাবুর দেহ ঘরে নিয়ে চলে আসেন পরিবারের লোকজন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় এক চিকিত্সককে। তিনি এসে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে যান। এদিকে কামারহাটি(Kamarhati) পুরসভায় খবর দেওয়া হল সেখান থেকে পুরসভার কর্মীরা এসে মৃতদেহ কালো পলিথিন দিয়ে মুড়ে দিয়ে যান। তার পর থেকে আর কোনও খবর নেই। সত্কার করার জন্য পুরসভা থেকে কোনও গাড়ি আসেনি। ফলে ঘরেই পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আবাসনে।