করোনা আক্রান্ত কর্মী, মাহেশে বন্ধ হল ডাকঘর, ৫০ শতাংশ কর্মীর উপস্থিতি কমানো হল মহকুমাশাসকের দফতরে
মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের । সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১৬০ জন । শুধুমাত্র গতকাল অর্থাত বুধবারে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ জন ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হুগলি জেলায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা । সরকারি হিসেব অনুযায়ী হুগলি জেলাতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত ১৬৮৭ জন । মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের । সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১৬০ জন । শুধুমাত্র গতকাল অর্থাত বুধবারে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ জন ।
পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই জেলায় সবচেযে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা শ্রীরামপুর মহকুমাতে । এই মহকুমাতে করোনা থাবা বসিয়েছে সরকারি দফতরগুলিতেও । কর্মী আক্রান্ত হওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হল মাহেশের পোস্টঅফিস এবং শ্রীরামপুর পুরসভা । আর মহকুমাশাসকের দফতরের কর্মী সংখ্যা কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে ।
কয়েকদিন ধরে মাহেশের পোস্টঅফিসের এক কর্মী জ্বরে ভুগছিলেন । কর্মী সংখ্যা কম থাকায় এই অবস্থায় অফিসও করেন ওই কর্মী । কিন্তু দিনপাঁচেক আগে ওই কর্মীর মধ্যে করোনার উপসর্গ ভালোভাবে দেখা দেয । এরপর করোনা পরীক্ষা করেন তিনি । বুধবার সেই কর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে । বৃহস্পতিবার পোস্ট অফিসে এই খবর আসার পরই অফিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সঙ্গে সঙ্গে নোটিশ টানিয়ে জানিয়ে দেওয়া অনিদিষ্টকালের জন্য মাহেশের পোস্টঅফিস বন্ধ থাকবে । বন্ধ করার আগে পোস্টঅফিসের বাইরে এবং ভিতরে ভালো করে স্যানিটাইজড করা হয় । নোটিশে উল্লেখ করা আছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নোটিশ দিয়ে আবার জানিয়ে দেওয়া হবে কবে পোস্টঅফিস খোলা হবে ।
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শ্রীরামপুর পুরসভা । আপাতত ৭ দিনের জন্য পুরসভার জরুরি পরিষেবা ছাড়া অফিস এবং অন্যান্য সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ থাকবে ।কারণ পুরসভার এক কর্মী করোনাতে আক্রান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে । এরপরই শ্রীরামপুর পুরসভা আপাতত এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । শ্রীরামপুর পুরসভার অধীনস্থ ৩নং ওয়ার্ড শুধুমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হলেও পুরসভার সার্ভে রিপোর্ট বলছে সামগ্রিক পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক । বুধবার ৪ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর পিনাকী ভট্টাচার্য্যের করোনাতে মৃত্যু হয়েছে । তাঁর পরিবার আক্রান্ত হয়েছিল ।এখন চিকিতসা করিয়ে তাঁরা সুস্থ । তাই কোন ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বর্তমান পুরপ্রশাসকরা ।
আরও পড়ুন: বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থা অভূতপূর্ব! রাজ্যকে তীব্র কটাক্ষ রাজ্যপালের
একই কারণে লাগাম টানা হয়েছে শ্রীরামপুর মহকুমাশাসকের দফতরে । প্রশাসনিক দফতর পুরোপুরি বন্ধ রাখা সম্ভব নয় । তাই কাঁটছাট করা হয়েছে কর্মীর উপস্থিতিতে । বৃহস্পতিবার থেকে কর্মী সংখ্যার উপস্থিতি ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে । রোটেশনালি ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে আপাতত কাজ চলবে শ্রীরামপুর মহকুমাশাসকের দফতরে ।