কাটমানি দিয়েও হাসপাতালে চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রীর, অভিযুক্ত তৃণমূল উপপ্রধান
মহকুমা হাসপাতালে ওয়ার্ড গার্লের চাকরি দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে দেড় বছর আগে তাঁর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন উপপ্রধান।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কাটমানির টাকা ফেরত না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক কলেজছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজারের গজলডোবার ১২ নম্বর কলোনিতে। বর্তমানে ওই ছাত্রী মাল বক্ল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত উপপ্রধানের নাম সুশীল সরকার।
লিপিকা পণ্ডিত নামে বছর ২০-র ওই ছাত্রীর অভিযোগ, মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ওয়ার্ড গার্লের চাকরি দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন সুশীল সরকার। দেড় বছর আগে তাঁর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন উপপ্রধান। কিন্তু তারপর বছর ঘুরে গেলেও চাকরির কোনও নাম নেই। আবার টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেই। বার বার টাকা চাইতে উপপ্রধানের বাড়ি গিয়ে দরবার করলেও, খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে এই বিশাল পরিমাণ টাকা জোগাড় করা হয়েছিল। এখন পাওনাদারের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। প্রতিদিন বাড়িতে এসে অপমান করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাড়ির গরু, ছাগল বিক্রি করে ঋণের কিছু টাকা শোধ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক টাকা শোধ করা বাকি।
আরও পড়ুন, বিমানবন্দরে চাকরি দেওয়ার নামে ৩৮ লাখ টাকা প্রতারণা, কেতুগ্রাম থেকে ধৃত ৩
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অভাবের তাড়নায় আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত উপপ্রধানের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে লিপিকা পণ্ডিতের পরিবার। এদিকে সুশীল প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। কোনও টাকাপয়সার লেনদেন হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।