'কেন পড়ে রইল মেয়েটি?' কুশমন্ডি থানার আইসি-কে কড়া ধমক মুখ্যমন্ত্রীর
সোমবার সকালে কুশমন্ডিতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এক তরুণীকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, ওই তরুণীকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ধাতব বস্তু।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডিতে আদিবাসী তরুণীর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে উল্লেখ করে এদিন গঙ্গারামপুরের প্রশাসনিক সভায় কুশমন্ডি থানার আইসিকে কড়া ভাষায় ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আইসি-র কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, "কেন মেয়েটি ওভাবে পড়েছিল? কেন পুলিস কোনও খবর পায়নি?" গ্রাম পুলিস, সিভিক ভলেন্টিয়ারকে যথাযথ ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, আইসি-র কাছে সেই কৈফিয়তও তলব করেন মুখ্যমন্ত্রী। আদৌ পুলিস এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কিনা, এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছে কিনা, সেবিষয়ে খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে এধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। এধরনের ঘটনা এড়াতে কমিউনিটি পুলিসিং বা পুলিস অফিসারদের এলাকাভিত্তিক পরিদর্শনের উপর জোর দেন তিনি।
সোমবার সকালে কুশমন্ডিতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এক তরুণীকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। সেই সময় তরুণীর দেহে ছিল না কোনও পোশাক। অভিযোগ, ওই তরুণীকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ধাতব বস্তু। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা ওভাবেই পড়ে ছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। বর্তমানে তিনি রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
আরও পড়ুন, ভাষাদিবসে মমতার উপহার, দক্ষিণ দিনাজপুরে হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়
এদিন গঙ্গারামপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, সরকার নির্যাতিতার পাশে রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই কিশোরীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকারের তরফে ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নির্যাতিতাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সবরকমভাবে পাশে থাকবে সরকার।