Bardhaman: উচ্চ শিক্ষার প্রলোভনে ছাত্রীকে মোবাইল, পরিত্যক্ত মিলে পার্শ্বশিক্ষক করলেন সর্বনাশ!

Class 10 Student Assaulted By his Teacher In Purba Bardhaman: পার্শ্বশিক্ষকের প্রলোভনে পা দিয়ে চরম ক্ষতি হয়ে গেল দশম শ্রেণির ছাত্রীর!  

Updated By: Aug 30, 2024, 09:28 PM IST
Bardhaman: উচ্চ শিক্ষার প্রলোভনে ছাত্রীকে মোবাইল, পরিত্যক্ত মিলে পার্শ্বশিক্ষক করলেন সর্বনাশ!
ভয়ংকর ঘটনা খোদ কালনায়!

সঞ্জয় রাজবংশী: গোটা দেশ জুড়ে এ কী চলছে! একাধিক রাজ্য থেকে আসছে পরপর সব হাড়হিম করা খবর। আরজি কর হাসপাতালে (Kolkata Rape And Murder Case) কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তোলপাড় রাজ্য থেকে দেশ। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে। কলকাতায় প্রতিদিন রাস্তায় নামছেন শয়ে শয়ে মানুষ। অমানবিক, ন্যক্কারজনক, নৃশংস ঘটনা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। আর ঠিক আবহে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গেল ফের বাংলায়। যার অভিঘাতে কেঁপে গেল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়।

আরও পড়ুন: Wi-Fi সারাতে মেয়েদের হোস্টেলে, ছাত্রীকে রাতে একা পেয়েই অবদমিত কাম...হাড়হিম NIT-র

দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সারল্য়ের সুযোগ নিয়ে পার্শ্বশিক্ষক যা করলেন, তা ভেবেই গা শিউরে উঠছে! কালনার পূর্বস্থলী বিদ্যানগর গয়ারাম দাস বিদ্যামন্দিরের ছাত্রী ভাবেনি এই দিন দেখতে হবে! তার চরম ক্ষতি করলেন ওই স্কুলেরই প্যারা-টিচার! নাদন ঘাটের ,গঙ্গা নন্দপুরের বাসিন্দা ভবতোষ বিশ্বাস পেশায় পার্শ্বশিক্ষক। প্রায় তিন মাস আগে ওই নাবালিকাকে উচ্চ শিক্ষা দেবেন বলে, ২৭ হাজার টাকা খরচ করে একটি মোবাইল কিনে দেন। এবং ছাত্রীকে বলেন যে, এই মোবাইল দিয়েই প্রতিদিন ভিডিও কলিংয়ে ক্লাস করাবেন। পাশাপাশি এও বলেন যে, মোবাইলটি বইয়ের ভিতর লুকিয়ে রাখতে। 

মেয়েটির সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ওই শিক্ষক ভিডিয়ো কল করতেন এবং বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ছবি দেখাতেন। এই ভাবে ক্রমেই শিক্ষক তাঁর কামের জালে জড়িয়ে ফেলেন সরল ওই নাবালিকাকে। এরপরই ঘটে যায় চরম ঘটনা। প্রায় দিন কুড়ি শিক্ষক ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়  এক পরিত্য়ক্ত পেপার মিলে। এরপর সেখানকার নির্জনতায় ছাত্রীকে শুধুই সিঁদুর পরিয়ে দেননি তিনি। লোভী হাত নাবালিকার সারা শরীরে ঘুরেছিল বলেই অভিযোগ। এমনকী মেয়েটির মোবাইলে সেই সব ছবি পাওয়া গিয়েছে বলেও পরিবার জানিয়েছে। মেয়েটি প্রথমে ভয় বাড়িতে না জানালেও, পরে পরিবারকে সবকিছু খুলে বলে। 

এরপর পরিবারের তরফে ওই স্কুলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তিন-চারদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর বাধ্য হয়ে গতকাল নাদন ঘাট থানায়, লিখিত অভিযোগ করে পরিবার। তার ভিত্তিতে শুক্রবার ওই অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিস। এদিন তাঁকে কালনা আদালতে তোলা হলে, বিচারক তিন দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে U/S 10/12 POCSO আইনে মামলা রজু করা হয়েছে। মেয়েটির জবানবন্দি নেওয়া হলেও এখনও হয়নি শারীরিক পরীক্ষা। এগুলি পরবর্তীকালে হবে। এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী মলয় পাঁজা। 

আরও পড়ুন: নবান্নে নতুন নীলনকশা, একের পর এক বড় রদবদল মমতার!

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.