Keshpur clash: পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল! কেশপুরে বোমার আঘাতে উড়ল তৃণমূল কর্মীর হাত
তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি জানান, কেশপুর বছর দুয়েক ধরে শান্তই রয়েছে। এখন সিপিএমের চক্রান্ত ও বিজেপির উস্কানিতে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিসকে বলব, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রং না দেখে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুন
চম্পক দত্ত: সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে তোলপাড় কেশপুর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিকে সামনে রেখে বুধবার তৃণমূলের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয় কেশপুর বাসস্ট্য়ান্ডে। ওই সভায় একটি মিছিল যাওয়ার কথা ছিল চড়কা এলাকা থেকে। তারই প্রস্তুতি চলছিল চড়কায়। সেই সময় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে বোমা নিয়ে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ উঠছে দলের অন্য একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বোমার আঘাত গুরুতর জখম হন রফিকুল আলম নামে এক তৃণমূল কর্মী। বোমার আঘাতে রফিকুলের হাতের একাংশ উড়ে যায়। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। চলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী।
আরও পড়ুন-শেষ ষোলোয় বিদায় আর্জেন্টিনার! কাপ উঠবে ব্রাজিলের হাতেই; বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী
স্থানীয় সূত্রে খবর এলাকায় তৃণমূলের একটা গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা মমতাজ ও আফগানের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। মমতাজ প্রাক্তন ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠির ঘনিষ্ঠ। অন্যদিকে, আফগান বর্তমান ব্লক সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা ও এলাকার বিধায়ক শিউলি সাহা ঘনিষ্ঠ। এলাকা কার দখলে থাকবে এই নিয়েই মূলত গোলমাল। এর আগেও এই এলাকায় বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যদিও আজকের এই ঘটনা দায় সিপিএম ও বিজেপির উপর চাপিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি জানান, কেশপুর বছর দুয়েক ধরে শান্তই রয়েছে। কোনও বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এখন সিপিএমের চক্রান্ত ও বিজেপির উস্কানিতে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিসকে বলব, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রং না দেখে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুন। পাল্টা বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস জানিয়েছেন এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এলাকা কার দখলে থাকবে এই নিয়েই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। এ বিষয়ে কেশপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা জানিয়েছেন, যার হাতে লেগেছে সেই বোম ছুটতে এসেছিল নাকি সেটা পুলিস তদন্ত করে দেখুক।