Purulia Murder: পুরুলিয়ায় বাবা-ছেলে খুনের কিনারা, গ্রেফতার বানজারা গ্যাংয়ের ৩ দুষ্কৃতী
ঘটনার তদন্তে কোনও জোরাল সূত্র পাচ্ছিল না পুলিস। তবে তাদের ভরসা ছিল একমাত্র লুট হওয়া মোবাইল ফোনটি
পিয়ালি মিত্র ও অনুপ মুখোপাধ্যায়: সপ্তাহ খানেক আগে পুরুলিয়ায় বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন বাবা ও ছেলে। চাষমোড়ের ওই ঘটনার তদন্ত নেমে আসানসোলের বারবানি থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি ও পুরুলিয়া জেলা পুলিসের একটি দল। তবে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল ধৃত ওই ৩ জন বানজারা গ্যাংয়ের সদস্য।
গত ৯ জুলাই চাষরোড পেট্রোল পাম্প থেকে রাতে কাজ শেষ করে ঘরে ফেরার পথে কানালী গ্রামে খুন হন মদন পাণ্ডে ও তাঁর ছেলে কানাই পাণ্ডে। লুঠ হয় তাঁদের কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন। নিখোঁজ ছিল তাঁদের বাইকটিও। দু’জনকেই কুপিয়ে খুন করা হয়।
কীভাবে খুনে কিনারা?
জোড়া খুনের ওই ঘটনার তদন্তে কোনও জোরাল সূত্র পাচ্ছিল না পুলিস। তবে তাদের ভরসা ছিল একমাত্র লুট হওয়া মোবাইল ফোনটি। সেই ফোনটিকেই ট্র্যাক করা হচ্ছিল। ফোনটি অন হতেই তদন্তকারীরা দেখেন সেটি অন হয়েছে জামশেদপুরের দিকে। ব্যাস ওইটুকুই। এর পরই তদন্তকারীরা যেটা করেন সেটি হল পুরুলিয়া থেকে জামশেদপুরগামী হাইওয়েতে টোলপ্লাজার সিসিটিভির ফুটেজ খতিতে দেখা শুরু করেন। তখনই ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে বেশকিছু সূত্র তাঁদের হাতে আসে। সেই সূত্রকে কাজে লাগিয়েই ৩ জন অভিযুক্তকে সনাক্ত করা হয়। গতকাল রাতেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন অভিযুক্তরা বারাবনিতে ফিরেছে। তখনই তাদের আটক করেন তদন্তকারীরা। জেরায় বেরিয়ে আসে তারা একটি বানজারা গ্যাংয়ের সদস্য। ঘুরে ঘুরে অপরাধ করাই তাদের পেশা। ধৃতরা হল মাণ্ডিল বেদ, মোনাই বেদ ও দীনেশ পাশি। মাণ্ডিল এবং মোনই দুই ভাই। বাড়ি ধানবাদে। আজ তাদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন পুলিসে হেফাজতের নির্দেশ দেন।
কীভাবে অপারশন চালায় এই বানজারা গ্যাং?
বানজারা বা যাযাবর গ্যাং। দলবেঁধে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গিয়ে কিছুদিনের জন্য ঘাঁটি বাঁধে এরা। দলে থাকে মহিলা, পুরুষ কিশোর-কিশোরী। ফাঁকা স্টেশন বা হাইওয়ে বা ফুটপাতের ধারে তাঁবু খাটিয়ে কিছুদিনের জন্য এক একটি জায়গায় আস্তানা তৈরি করে। তারপর ভিখারির বেশে চুরি ছিনতাই করে অন্য জায়গায় পালিয়ে যায়। পুজোর মুখে কলকাতায় দৌরাত্ম্য বাড়ে এই বানজারা গ্যাংয়ের। এবার জোডা খুনের নেপথ্যে উঠে এল সেই বানজারা গ্যাংয়ের হাত।
আরও পড়ুন-Teesta Setalvad: মোদীকে ফাঁসানোর ছক, সোনিয়ার আপ্ত সহায়কের কাছে থেকে ৩০ লাখ টাকা নেন তিস্তা!