এবার গ্রেফতার Fake Human Rights Commissioner, লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ
বাজেয়াপ্ত নীল বাতি লাগানো গাড়ি এবং প্রেসের স্টিকার লাগানো বাইক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুয়ো IAS। ভুয়ো সরকারি আইনজীবী। ভুয়ো CBI অফিসারের পর এবার প্রকাশ্যে ভুয়ো মানবাধিকার কমিশনার। রাজ্য কিংবা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নয়, এই কীর্তিমান নাকি আন্তর্জাতিক বা ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান। আর এই পরিচয় দিয়েই প্রতারণা করেছে অভিযুক্ত। অভিযোগ এও সরকারি চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে আত্মসাৎ করেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত রঞ্জন সরকারকে গ্রেফতার করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিস। আটক করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী-পুত্র এবং কয়েকজন কর্মীকে।
জানা গিয়েছে, সোমবার অন্য একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নজরে আসে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের। জানা যায়, হুগলীর চুঁচুড়া থানার হৃষিকেশ পল্লিতে বিগত কয়েকবছর ধরেই একটি বাড়ির দোতলায় অফিস চালাচ্ছিল রঞ্জন সরকার। নিজেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিতো সে। দেহরক্ষী নিয়ে মাঝেমধ্যেই অফিসে আসত। একাধিক গাড়ি এবং দামি বাইক দেখা যেত তার অফিসের বাইরে। তার ব্যক্তিগত গাড়িতে লাগানো থাকত নীল বাতি।
আরও পড়ুন: বাইক থামিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি, মঙ্গলকোটে খুন TMC অঞ্চল সভাপতি
সম্প্রতি ভুয়ো IAS অফিসার দেবাঞ্জন দেব এবং সনাতন রায়চৌধুরীর কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতে গাড়ি থেকে নীল বাতি খুলে দেয় রঞ্জন সরকার। বদলে সমস্ত গাড়ি ও বাইকে প্রেসের স্টিকার লাগিয়ে দেয় ওই প্রতারক। রবিবার রাতে হুগলী মোড়ে রঞ্জনের অফিসের এক ব্যাক্তিকে প্রেস লেখা স্কুটার-সহ আটক করে পুলিস। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সোমবার দুপুরে ঋষিকেশ পল্লির ওই অফিসে হানা দেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি-১ মৌমিতা সাহা। তল্লাশি চালান চন্দননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার বিদীত রাজ বুন্দেশ। অভিযান চলে চুঁচুড়ার পিপুলপাতির কাছে মল্লিকবাটি স্কুলের সামনে রঞ্জনের বাড়িতেও।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু, মৃতের স্ত্রী-দাদাকে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির
এরপরই প্রকাশ্যে আসে আসল তথ্য। পুলিস জানতে পারে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়ো মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যানের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছে অভিযুক্ত। চাকরির টোপ দিয়ে বহু মানুষের থেকে আত্মসাৎ করেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সমস্ত বিষয় স্পষ্ট হলে সোমবার রাত ৯.১৫ মিনিট নাগাদ অভিযুক্ত রঞ্জন সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয় তার ৬টি গাড়ি ও বাইক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রঞ্জনের স্ত্রী-পুত্র ও কর্মচারীদের আটক করে পুলিস।