Siliguri News: ছাত্রী খুনে অভিযুক্তকে আদালত চত্বরে আনতেই শুরু মারধর; পড়ল ঢিল, উঠল জয় শ্রীরাম স্লোগান
Siliguri News: ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার ফোনে জানান, " ছয় ঘন্টার মধ্যে পুলিস অভিযুক্তকে ধরেছে। আদালতে একটা সমস্যা হয়েছে। তবে পরিবারের লোকেরা অভিযুক্তের গায়ে হাত দেয়নি
নারায়ণ সিংহ রায়: স্কুলছাত্রী খুনে অভিযুক্তকে পুলিস শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে নিয়ে পৌঁছতেই উত্তাল হয়ে উঠল এলাকা। মঙ্গলবার দুপুরে আদালত চত্বরেই জমায়েত হয় মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজন-সহ বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের সদস্যরা। অভিযুক্ত এমডি আব্বাসকে নিয়ে পুলিসের গাড়ি কোর্ট চত্বরে পৌঁছতেই পুলিশের গাড়ি ঘিরে ফেলে মৃত স্কুলছাত্রীর পরিবার-সহ অন্যান্যরা। পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। উঠল পুলিসের বিরুদ্ধে হায় হায় স্লোগান। উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি।
আরও পড়ুন- আমার বাড়িতে রোজই ওরা অত্যাচার করছে, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে নিশানা মমতার
বিশাল পুলিস বাহিনীর ঘেরাটোপে গাড়ি থেকে নামানো হয় অভিযুক্তকে। পুলিশের হেফাজতেই অভিযুক্ত আব্বাসকে মারধোর শুরু করে পরিবার সহ অন্যান্যরা। কোনও প্রকারে পুলিস আব্বাসকে নিয়ে কোর্ট লকআপে ঢুকিয়ে দেয়। এরপরই কোর্ট চত্বর জুড়ে লাভ জিহাদের স্লোগান উঠে।
পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মুষ্টিমেয় পুলিস পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যায়। ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি কোর্ট চত্বরে ভিড় বাড়তে বহিরাগতদেরও। ওঠে "জয় শ্রী রাম", "লাভ জিহাদ" বিরোধী স্লোগান। এভাবেই কয়েকঘন্টা সময় পেরিয়ে যায়। অভিযুক্তকে কোর্ট থেকে বের করে পুনরায় নিজেদের হেফাজতে নিতে রীতিমতো ছক কষতে হয় পুলিসকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় শিলিগুড়ি ও পানিট্যাঙ্কি আউট পোস্টের বিশাল পুলিস বাহিনী, হাজির হয় র্যাফ।
অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করার পর পুনরায় থানায় নিজে যাওয়ার সময় তাকে আদালতের জেল থেকে বের করতেই ধর্নায় বসে পড়ে বহিরাগতরা। অন্যদিকে পরিবার পরিজন আগেই আদালত চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যায় মেয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে। আদালত চত্বরে ধর্নায় বসে চলে স্লোগান। পুলিশ ধর্না তুলতে গেলেই পাথর ছোড়া হয় পুলিশকে লক্ষ করে। এরপরই র্যাফের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীদের উঠিয়ে আদালত চত্বরের বাইরে করে দেওয়া হয়। অভিযুক্তকে নিয়ে মাটিগাড়া থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিস।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার ফোনে জানান, " ছয় ঘন্টার মধ্যে পুলিস অভিযুক্তকে ধরেছে। আদালতে একটা সমস্যা হয়েছে। তবে পরিবারের লোকেরা অভিযুক্তের গায়ে হাত দেয়নি। কিছু বহিরাগতরা এ কাজ করেছে। এটাকে একটা রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিস পুলিসের কাজ করেছে। পরিবারের পাশে রয়েছে। দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে৷"