Joyrambati Matri Mandir: মাতৃমন্দিরের শতবর্ষ! মায়ের 'দ্বারী-ভারী' শরৎ মহারাজের অতুল কীর্তি...

Joyrambati Matri Mandir Bankura: ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর সারদামণির জন্ম। ১৯২০ সালে মৃত্যু। মৃত্যুর তিন বছর পরে, ১৯২৩ সালে যে বাড়িতে মা সারদার জন্ম হয়েছিল সেখানেই প্রতিষ্ঠা হয় এই মাতৃমন্দিরের। সমস্তটা সুষ্ঠু ভাবে সামলেছিলেন মায়ের 'দ্বারী ও ভারী' শরৎ মহারাজ তথা স্বামী সারদানন্দ।

Edited By: সৌমিত্র সেন | Updated By: Apr 23, 2023, 02:23 PM IST
Joyrambati Matri Mandir: মাতৃমন্দিরের শতবর্ষ! মায়ের 'দ্বারী-ভারী' শরৎ মহারাজের অতুল কীর্তি...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মা সারদার পবিত্র জন্মস্থান বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতে শুরু হল মাতৃ মন্দির প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উৎসব। ১৯২৩ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে মা সারদার পুরনো বাড়ি ও নতুন বাড়ি নিয়ে প্রতিষ্ঠা হয় এই মাতৃমন্দির। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই মাতৃমন্দিরের আকার-আয়তন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনই বেড়েছে তার কর্মপরিধিও। মাতৃমন্দিরের কর্মের ব্যাপ্তি আজ আকাশছোঁয়া। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি আর্ত ও দুঃস্থের সেবায় জেলা ও জেলার বাইরে রীতিমতো একটা দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে মাতৃমন্দির। এহেন মাতৃমন্দিরের শতবর্ষ উৎসব শুরু হয়েছে। যা নিয়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন যেমন কর্মতৎপর উৎফুল্ল আনন্দিত , তেমনই এর রেশ পৌঁছে গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। 

আরও পড়ুন: Birbhum: সাধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য বীরভূমে

আজ, রবিবার সকালে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। এরপর এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জয়রামবাটী গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। দিনভর সানাই বাদন, মায়ের কথা পাঠ, ভক্ত মূলক নানা আলোচনার আয়োজন, ভক্তিগীতি পরিবেশন, যাত্রাপালা-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। মাতৃমন্দিরের এই শতবর্ষ উৎসবের সাক্ষী থাকতে সকাল থেকেই বহু ভক্ত পুণ্যার্থী জয়রামবাটীতে এসে উপস্থিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: Guru Chandal Yoga: রাহু-বৃহস্পতির সংযোগে তৈরি হচ্ছে ভয়ংকর গুরু চণ্ডাল যোগ! কোন রাশির জীবনে কী আসতে চলেছে...

১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর সারদামণির জন্ম। ১৯২০ সালের ২০ জুলাই কলকাতার বাগবাজারে মৃত্যু। মৃত্যুর পরে ১৯২৩ সালে অক্ষয় তৃতীয়াতে যে বাড়িতে মা সারদার জন্ম হয়েছিল সেখানেই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মাতৃমন্দিরের। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগে মা সারদার প্রধান সেবক স্বামী সারদানন্দ মহারাজ তখন এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 

স্বামী সারদানন্দ মহারাজ তথা  শরৎ মহারাজকে বলা হত মায়ের 'দ্বারী ও ভারী'। কেননা, তিনি কলকাতার মায়ের বাড়িতে নীচের ঘরে একরকম মায়ের 'দ্বারী' হয়েই থাকতেন, তাঁর অনুমতি বিনা কেউ মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারত না। অন্য দিকে, মায়ের যতরকম আবদার সবই তাঁর এই সন্তান সারদানন্দের কাছেই। বিভিন্ন জায়গায় তীর্থ করতে যাওয়া, ঘনঘন কলকাতা-জয়রামবাটী ভ্রমণ, তাঁর কাছে আসা ভক্ত বা বিশিষ্টদের সামলানো-- এসবই নানা কাজের দায়িত্ব সারদানন্দ হাসিমুখে পালন করতেন। সুষ্ঠু ভাবে মায়ের সব কাজের ভার বহন করতেন। মা-ও তাঁর উপর খুব নির্ভর করতেন। শরৎ ছাড়া তাঁর চলত না!  

প্রসঙ্গত, এখানে প্রথমে গর্ভগৃহ নির্মাণ করে মা সারদার পটে পুজোপাঠ শুরু হয়। ৩০ বছর পরে কাশী থেকে মা সারদার মূর্তি এনে নাটমন্দির নির্মাণ করা হয়। তার পর থেকে সেই মূর্তিতেই পুজো চলছে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.