গ্রেফতার অভিযুক্ত, ব্যাঁটরায় ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উদ্ধার মৃতার পোশাক ও মোবাইল
পুলিসের হাতে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে সামনে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওড়ার ব্যাঁটরায় মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল মূল অভিযুক্ত। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলি থেকে মূল অভিযুক্ত সীমন্ত ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন নিরাপত্তা কর্মী সীমন্ত ঘোষ। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পুলিসের হাতে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে সামনে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন, গৃহশিক্ষকের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে! 'সুখের দাম্পত্য' ঘুচল ৩ বছরেই
সপ্তমীর রাতে ব্যাঁটরায় একটি কারখানার পাশে হাইড্রেন থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নির্যাতিতা মহিলাকে। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, কারখানার ভিতরই ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে নিরাপত্তা কর্মী সীমন্ত ঘোষ। তারপর গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাইড্রেনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় নির্যাতিতা মহিলার মাথায়।
আরও পড়ুন, দরজা খোলা, ঘরে পা রেখেই বিছানায় স্ত্রীকে এঅবস্থায় দেখে চমকে উঠলেন স্বামী
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস জানতে পেরেছে দেহ লোপাটের আগে রেকি করে অভিযুক্তরা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই দেহ লোপাটের ছবি। তাই সীমন্ত ঘোষ ছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিস। ধৃতকে জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ পেতে চাইছে পুলিস।
পাশাপাশি, কারখানার ভিতর থেকে মৃতার মোবাইল ও পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিস। উদ্ধার হয়েছে একটি হামানদিস্তাও। পুলিস মনে করছে, খুনে ব্যবহার করা হয়েছিল হামানদিস্তাটি। ওই হামানদিস্তা দিয়েই মহিলার মাথায় আঘাত করে অভিযুক্তরা। একইসঙ্গে, কারখানার ভিতর ঢুকে দেখা যায়, গ্যাসের উপর চাপানো ছিল মাংস।
আরও পড়ুন, বাড়ির সামনে অন্ধকার গলিতে দাঁড়িয়ে বান্ধবীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, প্রতিবাদীকে পিটিয়ে খুন
এখন প্রশ্ন উঠছে, ওই মহিলা কি সীমন্ত ঘোষের পূর্ব পরিচিত? তাঁকে কী কারখানার ভিতর ডেকে এনেছিল অভিযুক্তরা? না কি ওই মহিলাকে জোর করে কারখানায় তুলে নিয়ে আসা হয়? সপ্তমীর রাতে সবাই যখন পুজো পরিক্রমায় ব্যস্ত, তখন ঠিক কী ঘটছিল ব্যাঁটরার কারখানার ভিতর? সব সূত্র খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস