Anubrata Mandol: অনুব্রতের বাড়িতে কেন সরকারি চিকিৎসক? বোলপুর হাসপাতালের সুপারকে তলব সিবিআইয়ের
চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর বয়ান রেকর্ড করলেন তদন্তকারীরা।
প্রসেনজিৎ মালাকার: কলকাতায় সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন যে 'অসুস্থ' হয়ে পড়লেন অনুব্রত মণ্ডল, সেদিনই বোলপুর হাসপাতালের সুপারকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বয়ান রেকর্ড করা হল চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর। সূত্রের খবর তেমনই।
গরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করার আগে, সোমবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিল সিবিআই। বস্তুত, সেদিন বোলপুর থেকে কলকাতায় এসেওছিলেন তিনি। কিন্তু নিজাম প্যালেসে নয়, শহরে পৌঁছেই সোজা চলে গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু এবার আর অনুব্রতকে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করতে রাজি হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিজের গড় বোলপুরে ফিরে যান কেষ্ট। এরপর যখন নিজের বাড়িতেই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসককে ডেকে পাঠান, তখন বিড়ম্বনা আরও বাড়ে। কেন? বোলপুর হাসপাতালে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, সুপারের নির্দেশেই অনুব্রতের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সুপারই নাকি সাদা কাগজেই প্রেসক্রিপশনও লিখে দিতে বলেছিলেন! ওই চিকিৎসকের বিস্ফোরক দাবি, অনব্রত মণ্ডলের কথাতেই নাকি ১৪ দিনে বেডরেস্টের পরামর্শ লিখে দিয়েছিলেন। এমনকী, বোলপুর হাসপাতালে সুপারের যে অডিয়ো ক্লিপটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, সেটি ১০০ শতাংশ সত্যি বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: সিবিআই হেফাজতে 'অসুস্থ' অনুব্রত, কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা
গরুপাচারকাণ্ডে এখন সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। উডবার্ন ওয়ার্ডে তাঁকে ভর্তি নিতে রাজি হয়নি এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, কার নির্দেশে তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক? তা জানতেই বোলপুর হাসপাতালের সুপারকে তলব করেছেন সিবিআই। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সুপারের নির্দেশেই অনুব্রতের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।
কে এই চন্দ্রনাথ অধিকারী?
বাড়ি- বোলপুরেই
পড়াশোনা- বিশ্বভারতীর পাঠভবনে প্রাক্তনী। মাধ্যমিকে দ্বিতীয়, উচ্চমাধ্য়মিকে প্রথম হন চন্দ্রনাথ। জয়েন্টে ডাক্তারিতে তাঁর ব়্যাঙ্ক ছিল ২২। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন তিনি। সার্জারিতে এমডি করেছেন এসএসকেএমে।
চাকরি-- সরকারি ডাক্তার হিসেবে প্রথম পোস্টিং বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। বেশ কয়েক ধরে এই হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
এদিকে গতকাল, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আসানসোল থেকে কলকাতায় আনা হয় অনুব্রতকে। সূত্রের খবর, এদিন সকাল থেকেই অনুব্রতকে জেরা করার পরিকল্পনা ছিল তদন্তকারীদের। কিন্তু দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। শুধু তাই নয়, বুকের ব্য়থায় এতটাই কাহিল হয়ে পড়েন যে, কথা বলতে পারছিলেন না! কমান্ড হাসপাতালে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা।